কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : জিয়া পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা কমিটি অনুমোদন না দেওয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে লঞ্চিত করেছেন ইবি কর্মকর্তা। 

বুধবার রাত ৭টার দিকে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনকে তার নিজ কক্ষে বিশ্রামরত অবস্থায় সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মানজারে আলম মিরু প্রবেশ করে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করেন বলে অভিযোগ ওই শিক্ষকের।

শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাৎক্ষনিক ভাবে অভিযুক্ত মানজারে আলম মিরুকে সাময়ীক বরখাস্ত করেছেন নিশ্চিত করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডরমিটরিতে নিজ কক্ষে বিশ্রাম করছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক এবং জিয়া পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন।

এসময় ওই কর্মকর্তা মানজারে আলম মিরুসহ দুই সহযোগী জিয়া পরিষদের কুষ্টিয়া জেলা কমিটির আনুমোদনের জন্য তার কক্ষের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। দরজা খুলে দিলে অভিযুক্তরা কমিটি আনুমোদনের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। এতে শিক্ষক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন ওই মুহূর্তে অস্বীকৃতি জানান। এঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে কর্মকর্তা মিরু অধ্যাপক এমজাতকে কিলঘুষি মারতে শুরু করেন।

সংবাদ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক জড়ো হয়ে মিরুকে আটক করেন এবং পুলিশকে জনালে ইবি থানার ওসি রতন সেখ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মিরুকে আটক করে থানায় নিয়ে যান বলে নিশ্চিত করেছেন ওসি।

বুধবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী আহত শিক্ষককে দেখতে গিয়ে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। তিনি বলেন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীকে।

(কেকে/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮)