স্টাফ রিপোর্টার : টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না শেয়ারবাজার। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। এ নিয়ে টানা ছয় কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।

মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি এদিন কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ১৮৩টির। আর ৪৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে পাঁচ হাজার ২৫১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় তিন পয়েন্ট কমে এক হাজার ২০৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। তবে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৯৮ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম এবং মূল্য সূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। দিনভর ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৯৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৪৮৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। সে হিসাবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ১২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে এদিন ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের ১৯ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে জেএমআই সিরিঞ্জ।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- ওয়াটা কেমিক্যাল, মেঘনা লাইফ, আলহাজ টেক্সটাইল, ন্যাশনাল টি, রূপালী লাইফ, অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ইফাদ অটোস।

অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএসসিএক্স ১৯ পয়েন্ট কমে ৯ হাজার ৭৫৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৫২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১২০টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দাম।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮)