নওগাঁ প্রতিনিধি : প্রতীক বরাদ্দের পর পরই নওগাঁ জেলার ৬টি আসনে পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে। নির্বাচনী প্রচারনায় কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। 

নিজেদের প্রার্থীকে ভোট দিতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরাঘরি শুরু করেছেন প্রার্থী ও তাদের কর্মী সমর্থকরা। নওগাঁ-৫ (সদর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন তার নির্বাচনী এলাকায় নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে ব্যাপক প্রচারনা শুরু করেছেন। সদর উপজেলায় বিভিন্ন পাড়ায়-মহল্লায় তার উপস্থিতির খবর পেলেই বাঁধ ভেঙ্গে ছুটে আসছেন এলাকার স্বতস্ফুর্ত নারী-পুরুষ ভোটাররা। তারা জনের পিতা মরহুম আব্দুল জলিলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নৌকায় ভোট দেয়ার অঙ্গিকার করছেন। এ আসনে নৌকার মাঝি জনকে বিজয়ী করতে যেন বদ্ধপরিকর তারা।

কারন জন বলেছেন, তার মরহুম পিতা আব্দুল জলিলের সাধারন মানুষের কল্যানে রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতেই নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন তিনি। সাধারন মানুষের সাড়াও মিলছে ব্যাপক। প্রতিদিন বিকেলে এলাকা জুড়ে নৌকায় ভোট চেয়ে মাইকে প্রচারনা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুূরে নওগাঁ এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনে আইনজীবিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন নওগাঁ সদর আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ব্যারিষ্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন। এ্যাসোসিয়েশনের হল রুমে জেলা এ্যাডভোকেট বার এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবু জাফর সাফী মাহমুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল বাকী, সাধারন সম্পাদক এ্যাডভোকেট ফিরোজ মাহমুদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক পিযূস কুমার সরকার প্রমুখ।

এদিকে জনের নির্বাচনী প্রচারনা ও সাধারন মানুষ ব্যাপক সাড়া দেয়ায় ঈর্শান্বিত হয়ে একটি মহল ইতোমধ্যেই অপপ্রচারে নেমেছে নৌকার বিরুদ্ধে। এমন তথ্য মিলছে সাধারন ভোটারদের কাছ থেকে। ভোটাররা জানান, মহলটি এই বলে তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে যে, জনের নির্বাচনী প্রচারনার সময় ২/১জন বিতর্কিত(?) ব্যক্তি তার সঙ্গে থাকছেন। জন বিজয়ী হলে ওইসব বিতর্কিত ব্যক্তির দাপটে চলা দায় হয়ে পড়বে। তবে এ প্রসঙ্গে নৌকাভক্ত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবীন রাজনীতিক জনকন্ঠকে বলেন, জনের সঙ্গে যারা প্রচারনায় নেমেছেন, তাদের সকলেই জনকে ভালবাসেন। তার ক্ষতি কেউ চায়না। তবে সাধারন মানুষের মন থেকে বিভ্রান্তি দূর করতে তাদের সঙ্গে না নিয়ে আলাদা আলাদা প্রচারনা চালানোই ভাল। এতে ভোটারের মনে কোন বিভ্রান্তি থাকবে না। তবে জন নির্বাচিত হলে এখানে অন্য কারো দাপট দেখানোর সুযোগ নেই। এতে বিভ্রান্ত না হুংকার জন্য তিনি সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।

অপরদিকে সদর আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত বিএনপির জাহিদুল ইসলাম ধলুর ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচারনা শুরু হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় নৌকা ও ধানের শীষের নির্বাচনী অফিস স্থাপন করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করার আহ্বান জানিয়ে মাইক নিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছে। ইতোমধ্যেই যেন নির্বাচনী এলাকায় ভোট উৎসবের আমেজ বিরাজ করতে শুরু করেছে।

(বিএম/এসপি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮)