রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সদর উপজেলার ফিংড়ি ইউনিয়ন প্রতিনিধি সমীর কুমার ঘোষ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর। 

বৃহষ্পতিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সদর উপজেলার ব্যাংদহা এলাকায় ভ্যান থেকে নামার সময় রাস্তায় পড়ে যেয়ে তিনি জ্ঞান হারান। সাথে সাথে তাকে স্থানীয় চিকিৎসক সুমল সরকারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

সমীর কুমার ঘোষ সাতক্ষীরা সদরের ফিংড়ি ঘোষপাড়ার মৃত অমরেন্দ্র নাথ ঘোষের ছেলে।

মৃতের স্ত্রী মিতা রানী ঘোষ জানান, তার স্বামী সমীর ঘোষ বৃহষ্পতিবার রাত সাড়ে ১টার দিকে গাভা মহাশ্মশানে একটি অনুষ্ঠান শেষে ভ্যান যোগে ব্যাংদহা বাজারে যাচ্ছিলেন। বাজারে পৌছানোর আগেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ভ্যান থেকে নামার সাথে সাথে তিনি রাস্তার উপর পড়ে গেলে মস্তিস্কে আঘাত পেয়ে জ্ঞান হারান। পরে তাকে ডাঃ সুমল সরকারের কাছে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

স্বজনরা জানান, মৃত্যুকালে তিনি, সন্তান সম্ভবা স্ত্রী, এক পুত্র সন্তান, মা, তিন ভাই, দু’ বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহীকে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে শুক্রবার সকালে বিভিন্ন পেশার মানুষ তার বাড়িতে ভিড় জমান। শুক্রবার বিকেলে স্থানীয় শ্মশানে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে।

তবে মৃতের মা রাধা রানী ঘোষ জানান, দীর্ঘ এক যুগ ধরে তার ছেলে সমীর পত্রদূত পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত ছিল। দীর্ঘদিন ধরে সে ওই পত্রিকার ফিংড়ি ইউনিয়ন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতো। তার নামেও পত্রিকায় প্রতিবেদন ছাপা হতো।

একটি পরিচয় পত্রের জন্য সে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অ্যাড. আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কল্যাণ ব্যাণার্জীসহ কয়েকজনকে বার বার অনুরোধ করেছিলো। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে পরিচয় পত্র না পাওয়ার আক্ষেপটা তিনি কোনদিন ভুলতে পারবেন না। তবে বৃহষ্পতিবার রাতে তার মৃত্যুর খবরটি পত্রদূত পত্রিকায় ছাফানোর হলে তাকে ফিংড়ি প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। জীবদ্দশায় না হলেও মৃত্যুর পর স্বীকৃতিটাই বা কম কিসের?

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮)