ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কতগুলো দল-উপদল ও গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। এদের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী, তাদের সঙ্গে সংগঠিত কিছু মানুষ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ছত্রচ্ছায়ায় লালিত-পালিত কিছু মানুষ রয়েছে ৷ দল-উপদল ও গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে তারা বিজয়ের এ মাসকে কলঙ্কিত করছে। নতুন মাত্রা ও নতুন পরিচয়ে তাদের আত্মপ্রকাশ ঘটা শুরু হয়েছে। এরা পুরোনো মদ, আবির্ভূত হয়েছে নতুন বোতলে।’

শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন তিনি। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

উপাচার্য বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের সময় সংস্কৃতির ওপর আঘাত এলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা ভিন্ন ধরনের অবস্থান নিয়েছিলেন। যারা মানুষের মনস্তাত্তিক জগতে পরিবর্তন এনে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করেছেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা তাদের চিহ্নিত করে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয়। একাত্তরের ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এ কাজে আলবদর, আল শামস বাহিনীকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা হয়। আর মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান রাও ফরমান আলী।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তাজিন আজিজ চৌধুরী প্রমুখ।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৪, ২০১৮)