স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর : দিনাজপুরে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের নেতারা অভিযোগ করেছে, তফসিল ঘোষণার পর থেকে অন্যায়-অবিচাররের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে। নির্বাচনী প্রচারনায় প্রতিটি মুহূর্তে বাধা গ্রস্থ করা হচ্ছে। পোস্টার ছিড়ে ফেলা সহ নেতা-কর্মীদের অন্যয় ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মামলায় হাই কোর্ট থেকে জামিনে থাকার পরেও মাদক ও নাশকতার মামলায় জরিয়ে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে,বিএনপি’র নেতা- কর্মীদের।

দিনাজপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ে শনিবার দুপুরে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দিনাজপুর সদর-৩ আসনের ঐক্য ফ্রন্টের মনোনিত প্রার্থী সেয়দ জাহাঙ্গীর আলম,২ আসনের প্রার্থী সাদিক রিয়াজ চৌধুরী পিনাক ও ৪ আসনের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদি দল বিএনপি সহ বিশ দলীয় জোট তথা জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে অবাধ-সুষ্ঠ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনঃউদ্ধার ভোটের অধিকার নিশ্চিত এর দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এরই অংশ হিসাবে শত প্রতিকুলতার মধ্যেও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় তফশিল ঘোষণার পরেও দিনাজপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোকারম হোসেন,বখতিয়ার আহম্মেদ কচি, জাহাঙ্গীর আলম, মোস্তফা কামাল মিলন, যুব দলের সভাপতি মুন্নাফ মুকুল, মহিলা দলের সাধারন সম্পাদিকা শাহিন সুলতানা
বিউটি সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উচ্চতর আদালত হতে জামিনে থাকার পরেও অন্যায় ভাবে তথাকথিত নাশকতা, হত্যা ও ইয়াবা সংক্রান্ত মিথ্যা মামলায় পুনঃ গ্রেফতার করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা আরো বলেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোতয়ালী থানার ওসি এবং বিরল ও বোচাগজ্ঞ থানা ওসি পক্ষপাতমূলক কর্মকান্ডের কারনে অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি এবং সেই সাথে বিচারিক ক্ষমতা দিয়ে সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক লুৎফর রহমান মিন্টু, সাবেক উপজেলা চেয়ার ম্যান মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, এড্যাঃ আনিসুর রহমান, আকতারুজ্জামান জুয়েল, পৌর কাউন্সিলর মাসুদুর রহমান মাসুদ, স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি মজিবর রহমান মজিব প্রমুখ।

(এসএএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮)