অমল তালুকদার, বরগুনা : খন্দকার মাহবুবকে মনোনয়ন দেয়ায় ক্ষোভে ফুসে উঠছে বিএনপির ভোটাররা। এক-ই কারনে ভোটের মাঠে লড়াই আর বাঘে-মহিষে হচ্ছে না। নূরুল ইসলাম মণি বিহিন বিএনপি যেনো ভাবতেই পারছেন না নেতা- কর্মিরা। চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা তর্ক-বিতর্কের ঝড়।

সাবেক বিএনপির মেধাবী ও জনপ্রিয় সাংসদ আলহাজ্ব নূরুল ইসলাম মণি এখানকার প্রার্থী হলে আ. লীগের বর্তমান সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমনের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতো এটি নিশ্চিতই ছিলো। কিন্তু প্রার্থী অপছন্দে বদলে গেছে সব। এখন নিরব- নির্জিব বিএনপি মন থেকে আর ঘুড়ে দ্বাড়াতে চায় না।।

বিএনপির অধিকাংশ নেতাকর্মী এবং সাধারণ সমর্থক চুপসে গেছে বলে মনে হচ্ছে। কোথাও কোথাও আবার দলবেঁধে আ.লীগে যোগ দিচ্ছে। প্রচার-প্রচারণার প্রায় সপ্তাহ পার হতে চললেও বিএনপি মনোনীত খন্দকার মাহবুব হোসেনের দেখা মিলছে না ভোটের মাঠে।

ইতিমধ্যে পাথরঘাটার কালমেঘা ইউনিয়ন ও সদর ইউনিয়নের গহরপুর থেকে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী
ও সমর্থক আ.লীগ প্রার্থী শওকত হাচানুর রহমান রিমনের হাতে হাত মিলিয়ে আ.লীগে যোগ দিয়েছেন ।

পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোঃ ফারুক বলেন, আমাদের কিছু করার ছিলো না। এড.খন্দকার মাহবুব হোসেন দলের সিনিয়র লিডার। এছাড়াও তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সহ অন্যান্য বিভিন্ন পদমর্যাদার নেতাকর্মীদের নানা মামলা লড়ছেন। আমাদের জন্য অনেক আইনি সুবিধা দিচ্ছেন এই অভিজ্ঞ আইনজীবী। এসব কারনে তাঁর প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা দেখাতেই হবে।

অপর একটি অংশের নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে একজন জনপ্রিয় প্রার্থীকে হারাতে হবে এবং এই দুঃসময়ে একটি আসন হাতছাড়া হবে; এর কোনো মানে হয়না। বিষয়টি নির্বাচনী এলাকাতেই কেবল সীমাবদ্ধ থাকেনি। সামাজিক যোগাযোগের বদৌলতে দেশের গন্ডি পেরিয়ে ছিটকে পরেছে বাইরের দেশেও।

(এটি/এসপি/ডিসেম্বর ১৬, ২০১৮)