রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রাজারহাটে গত ২দিন ধরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও শৈত্য প্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষের জীবন যাপন দূর্বিসহ হয়ে পড়েছে।

শীতার্ত মানুষরা তাদের আয়ের কিছু অংশ দিয়ে হলেও শীত বস্ত্র ক্রয়ের জন্য ভিড় করছে কাপড়ের দোকানগুলোতে। কিন্তু এ বছরে শীতবস্ত্রের চড়া মূল্য হওয়ায় অধিকাংশ ক্রেতারা পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়ছে।

চলতি আমন মৌসুমে বেশ কিছু এলাকায় কৃষকরা আমন ধান ঘরে তুলতে না তুলতেই বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ছে তারা। ফলন ভাল হওয়ার কারণে কৃষকরা খুশি হলেও গত ২দিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায়
কৃষকদের ধান নিয়ে বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। হাড় কাপানো শীতে বিশেষ কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে পারছে না সাধারণ মানুষ। পৌষের শুরুতেই হিমেল হাওয়ায় মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে।

আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে সর্দি- কাশি, জ্বর, এজমা সহ শীতজনিত রোগ। গত এক সপ্তাহে উপজেলার প্রায় ২ হাজার মানুষ শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইউনিয়ন কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, রাজারহাট হাসপাতালসহ কুড়িগ্রামসদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা
নিয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রামাঞ্চলে গবাদী পশুর গায়ে উঠেছে চট।

চরাঞ্চল ও আবাসন জনপদে চলছে নানা বিড়ম্বনা। এসময় মাঠে তেমন কাজ না থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষজন পরিবার-পরিজনদের সংসার চালানো কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়েছে। এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি চলছিল।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সজিবুল করিম জানান, আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে এজন্য শীতবস্ত্র বিতরণ করা সম্ভব হয়নি।

রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তর এর অফিস ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ সুবল চন্দ্র সরকার জানান, ১৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত ১৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রয়েছে। আগামী বৃস্পতিবার পর্যন্ত এ বৈরি আবহাওয়া থাকতে পারে।

(পিএমএস/এসপি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৮)