স্টাফ রিপোর্টার : গুণী চলচ্চিত্রকার, চলচ্চিত্র সম্পাদক, চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা সাইদুল আনাম টুটুল প্রয়াত হয়েছেন। গেল ১৮ ডিসেম্বর ৩টা ১০ মিনিটে চিকৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সংস্কৃতি অঙ্গনে। কাঁদছে তার পরিবার ও সহকর্মীরা।

সাইদুল আনাম টুটুলের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে হাজির হয়েছিলেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও অনুরাগীরা।

তারা শেষবারের মতো দেখলেন টুটুলের মুখ, কাঁদলেন। ভাসলেন অতীতের স্মৃতির সমুদ্রে। টুটুলের শোকে ও কান্নায় শহীদ মিনার যেন ভেসে গেল।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাইদুল আনাম টুটুলের মরদেহ দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাদ যোহর নামাযে জানাজা হবে।

এরপর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে টুটুলের মরদেহ দাফন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন নাট্যব্যক্তিত্ব নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু।

টুটুলকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন মুস্তাফা মনোয়ার, সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকি, মামুনুর রশীদ, মসিউদ্দিন শাকের, রাইসুল ইসলাম আসাদ, শিশুসাহিত্যিক আলী ইমাম, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক, তারিক আনাম খান, ফরিদুর রেজা সাগর, কেরামত মওলা, কে এস ফিরোজ, গাজী রাকায়েত, নিমা রহমান, ভাস্বর বন্দপাধ্যায়, লিয়াকত আলী লাকী, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান প্রমুখ।

টুটুলকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে তারিক আনাম খান বলেন, ‘তার পুরো নাম সাইদুল আনাম খান, আমার নাম তারিক আনাম খান। আমার আপন চাচাতো ভাই। আমাদের পরিবারের যারাই এই সংস্কৃতি অঙ্গনে কাজ করেন তাদের কাছে সাইদুল আনাম টুটুল অনেক বড় অনুপ্রেরণা।

তার স্বপ্নের চলচ্চিত্র ‘কালবেলা’ যেন তার মতো করে শেষ করা হয়, তথ্য মন্ত্রণালয়সহ ছবিটির সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অনুরোধ করছি আমি।’

চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘তার মতো গুণী মানুষের চলে যাওয়া আমাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতির। সে নিভৃতে মানুষের মধ্যে শিল্প ছড়িয়েছে। আপাদমস্তক একজন শিল্পযোদ্ধা ছিলেন।

আগামী ২৫ ডিসেম্বর বিকেল চারটায় শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় টুটুল স্মরণে স্মরণসভা হবে। সবাইকে উপস্থিত থাকার আহবান জানাই।’

স্মরণ সভায় শ্রদ্ধা জানাতে আরও এসেছিল স্রোত আবৃত্তি সংসদ, অভিনয় সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড, সাংস্কৃতিক জোট, চলচ্চিত্র সমালোচক পর্ষদ, কালবেলা চলচ্চিত্র পরিবার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশসহ আরও অনেক চলচ্চিত্রের সংগঠন।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ২০, ২০১৮)