মানিক বৈরাগী


আপনি আওয়ামীলীগ করেন না খুব ভালো কথা।আপনি আওয়ামীলীগকে পছন্দ করেন না তাও আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর সবাইকে আওয়ামীলীগ করতে হবে এমন কোন কথা নাই। এবং এটি আওয়ামীলীগ বিশ্বাস করে।ভিন্ন মতকে সম্মান করেছে যুগে যুগে।

আপনি আপনাদের আওয়ামীলীগ এর বাইরে বিকল্প রাজনৈতিক প্লাট ফর্ম,জোট ও দল গঠন করতেই পারেন। এটিও আপনার সাংবিধানিক অধিকার। আপনি নিয়মিত আওয়ামীলীগ এর চুন থেকে পান খসলেই সমালোচনা করবেন, বেশি বেশি করবেন। এটিও আপনার রাজনৈতিক মতাদর্শের দ্বান্দিক অবস্থান।

আপনি আওয়ামীলীগ কে ডিঙ্গিয়ে নিজের মতাদর্শের রাজনৈতিক জোট প্লাটফরম গঠন করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হবেন। এটি খুবই স্বাভাবিক। এসব রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার অংশ। তো প্রশ্ন হচ্ছে এসব আপনি কে কাকে কাদের নিয়ে করবেন। এই যায়গায় যদি দেখি দেশ বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধী, বিশ্ব প্রেক্ষাপটে যাদের নেতিবাচক অবস্থান, দেশের শান্তি প্রিয় মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান হয় তখোন আপনার সাথে আমার আর সহমত পোষণ করার প্রশ্নই আসেনা।

আপনি আপনার যদি নিছক ক্ষমতায় যাবেন যেনো তেনো প্রকারে, যাদের অতিত বর্তমান অবস্থা রাষ্ট্র বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী, যাদের বিরুদ্ধে জঙ্গীবাদের সম্পর্ক, জড়িত, বাস্তবায়ন কারি, খুন, সন্ত্রাস, মাদক, চোরাকারবারী অভিযোগ রয়েছে। তাদের সাথে আপনি জোট করে, বঙ্গবন্ধুর সাথে অতিত সম্পর্ক চাউর করে নিজেকে আদর্শিক, ন্যায়বান, মুক্তিযোদ্ধা, শুধু শেখ হাসিনার জন্য আপনি আওয়ামী বিরোধী পক্ষ। এসব কথায় যদি মানুষ কে বলে বেড়ান, তাতেও আমার আপত্তি নেই। কিন্ত আপনার জোটে আপনার সাথে যখন দেখি একি মার্কা বা প্রতীক নিয়ে জাতির পিতার হত্যাকারীও নির্বাচন করছে, যুদ্ধাপরাধী ও তাদের দোসর ও নির্বাচন করছে। তখোনই আপনি জ্ঞানপাপী হলেন, জাতির সাথে প্রতারণা করলেন।

আপনার সাথে যখন দেখি ১৫ আগষ্ট, ৩রা নভেম্বর, ১৭ আগষ্ট, ২১আগষ্টের খুনি, ইন্ধনদাতা, আশ্রয় পশ্রয় দাতারা আপনার জোট সঙ্গী, সফর সঙ্গী, নির্বাচন সঙ্গী, লুটেরা, সাম্প্রদায়িক শক্তি তখন আর আপনাদের বিশ্বাস করার চাইতে দেশবাসীর আপনাদের প্রতিরোধ করা ন্যায় সঙ্গত। তখন আপনি আর গণতান্ত্রিক বলেন, সমাজতান্ত্রিক বলেন, প্রগতিশীল, মানবতাবাদী বলেন। সব কথার কথা, ভণ্ডামি, ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছুই নয়।

আমি বলছি না আওয়ামীলীগ এর রাজনীতি আপনাদের থেকে অনেক উচুতে। হ্যাঁ আপনি মাজে মাজে কিছু উদাহরণ তুলে ধরেন জাতির কাছে মিড়িয়া ব্যবহার করে। আমি অস্বীকার করছি না, কিছু অভিযুক্ত লোক আমাদের আওয়ামীলীগ এ আছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ সমেত আদালতের আশ্রয় নিতে পারেন।
আওয়ামীলীগ নাহয় অধম, তো আপনি উত্তম হবেন না কেন?

আর যেসব আওয়ামী নেতাদের আপনারা উদাহারন দেন আমরাও তাদের সমালোচনা করি। হ্যাঁ এরা কিন্তু নীতিনির্ধারক নন। এরা আশ্রয়ের নামে আশ্রয় নিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে আমরা সজাগ থাকি। কিন্ত আপনারা আমাদের থেকে উত্তম না হয়ে নিকৃষ্ট হতে যাবেন কেন? আমরা যা পারিনাই তা আপনাদেরই পারতে হবে। আপনি আদর্শিক গণতন্ত্র চর্চা না করে দেশটা কে বিশ্ব জঙ্গিবাদী রাজনীতির দিকে রাষ্ট্রকে ঠেলে দিতে পারেন না। আপনি শুধু ক্ষমতারোহণের জন্য বিশ্ব মাফিয়া, অস্ত্রচোরাকারবারী সাথে আতাত করতে পারেন না, েসহায়তা নিতে পারেন না।

বর্তমান সংসদ জাতিয় সংসদ নির্বাচন কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেন না। আপনি আপনাদের মধ্য দিয়ে যখন এসব হতে দেখি তখোন আপনাদের কে মনে ভেকধারী ভণ্ড প্রতারক, রাজনৈতিক প্রতারক। আপনাদের প্রতিহত প্রতিরোধ করা যৌক্তিক মনেকরি। দেশের মানুষ আপনাদের প্রতিরোধ গড়েনি এটাই আপনাদের জন্য মঙ্গলজনক। তো আপনারা হইলেন মুখে শেখ ফরিদ বগলে জঙ্গী।কথার আড়ালে ছলচাতুরী। গণতন্ত্রের নামে আখের গোচারি।

লেখক : কবি