জামালপুর প্রতিনিধি : সাংস্কৃতি অঙ্গনের কিংবদন্তি দেশ বরণ্য চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের রবিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জামালপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে বাবা নুর উদ্দিন সরকারের কবরের পাশে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় আমজাদ হোসেনর মরদেহ সর্ব সাধারনের দেখা ও জানাজার জন্য জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয়। সেখানে আমজাদ হোসেনের কফিনে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক দল, প্রেসক্লাবসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন ও জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষ পুষ্প অর্পন করে শ্রদ্ধা জানান। সকাল ১১টায় জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজার নামজ অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জামালপুরের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেয়।

জানাজা পুর্ব উপস্থিত জামালপুরবাসীর উদ্দেশ্যে আমজাদ হোসেনের স্বৃতিচারন করে তার ছেলে চলচ্চিত্র পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, আমার বাবা প্রাণহীন শহরকে পছন্দ করতেন না, সুযোগ পেলেই গ্রামের প্রকৃতির কাছে ছুটে যেতেন। বিশেষ করে জামালপুর শহরকে লালন করতেন মনে প্রানে,সব সময় জামালপুরকে নিয়ে ভাবতেন। তাঁর গল্প উপন্যাস চলচ্চিত্রে জামালপুরের পটভুমি তুলে ধরতেন। তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে তার জন্মস্থান জামালপুরে আমার দাদা নুর উদ্দিন সরকারের কবরের পাশে দাফন করা হচ্ছে। আমার বাবাকে জামালপুরে আপনাদের কাছে রেখে গেলাম বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি। আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে অভিনেতা ও নাট্যকার সোহেল আরমান বাবার নানা স্বৃতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

আমজাদ হোসেনের বাল্যকালের বন্ধু অধ্যাপক ইকরামুদ্দৌলাহ ও ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী ছেলেবেলা ও স্কুলের নানা স্বৃতিচারন করেন।

এছাড়াও স্বৃতিচারনমুলক বক্তব্য রাখেন সাবেক ভুমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা,সাবেক উপমন্ত্রী সিরাজুল হক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ চৌধুরী, পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, ঐক্যজোটের প্রার্থী সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন, মহাজোট প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়ারেছ আলী মিঞা, জামালপুর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি রেজাইল করিম রেজনু ও চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুরে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মায়া যান প্রয়াত আমজাদ হোসেন। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় মরদেহবাহী এ্যামম্বুলেন্স জামালপুরে তাঁর নিজ বাড়ী জামালপুর শহরের ইকবালপুর এসে পৌছে। তাকে এক নজর দেখতে তাঁর আত্মীয়স্বজন, শোভাকাঙ্খী, ভক্তবৃন্দ ও জামালপুরের নানা শ্রেণীপেশার মানুষ ছুটে আসেন।

(আরআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৩, ২০১৮)