বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাট - ২ আসনে বিএনপি’র প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ সালাম বাগেরহাট প্রেসক্লাবে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করে তার আসনে নির্বাচনের কোন পরিবেশ নেই দাবি করে অভিযোগ এনে বলেছেন, গত দুই দিনে তার আসনে প্রতিপক্ষের হামলায় ৩০ নেতাকমী আহতসহ জেলা বিএনপি’র অফিস ভাংচুর করা হয়েছে।

নির্বাচনের তফশিল ঘোষনার পর থেকে তার দলের ৫০ জনের অধিক নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের সমর্থকদের পিটিয়ে আহত করেছে। আহত দলীয় নেতাকর্মীদেও বাগেরহাটের বাইরে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। পুলিশ বাড়ীতে-বাড়ীতে গিয়ে গ্রেফতার অভিযোগ চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিএনপি ৫ শতাধিক নেতাকর্মীদের এলাকা ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছেন।

সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি’র প্রার্থী এম এ সালাম আরও দাবী করেন বিএনপি’র প্রার্থীর প্রচারে মাইকিং করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। পোষ্টার লাগালে ছিড়ে পেলা হচ্ছে। এমনকি জেলা বিএনপি অফিসে হামলার পর কাউকে অফিসে আসতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ধানের শীষের সমর্থক অসংখ্য পুরুষ শূন্য পরিবারের নারী-শিশুদের উপর নৌকার সমর্থকরা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে ১৭ বার লিখিত অবিযোগ দেয়ার পরও কোন প্রতিকার পাননি বলে বিএনপি’র এই প্রার্থী অভিযোগ করেন। পুলিশের গ্রেফতারসহ নৌকার সমর্থকদের অব্যাহত হামলার পরও বিএনপি নির্বাচনী মাঠে থাকবে ও ভোটাররা নির্বাচনে ভোট দিতে পারলে বিএনপি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি’র প্রার্থী এম এ সালাম।

জরুরী এই সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপি সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক আলী রেজা বাবু, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শেখ শাহেদ আলী রবি, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজ্জাফর রহমান আলম, কচুয়া উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি হাজরা আসাদুল ইসলাম পান্নসহ অঙ্গ সংগঠনের র্শীষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

(এসএকে/এসপি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮)