মোঃ আব্দুল কাইয়ুম, মৌলভীবাজার : পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়নন্ত্রিত হয়ে কাজ করছে জানিয়ে মৌলভীবাজার-২ আসনে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থী, সাবেক সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ বলেছেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় কোন চেইন অব কমান্ড নেই, এ পর্যন্ত সেখানে প্রায় ৫-৬ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানান প্রায় ৩৫ জন পুলিং এজেন্ট পরিবর্তন করা হয়েছে এবং ঐ আসনের ৯৩টি ভোট সেন্টারের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে লিখিত বক্তব্য শেষে এসব তথ্য জানান জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ এই নেতা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুলতান মোহাম্মদ মনসুর বলেন প্রতীক পাওয়ার পর আমার ধানের শীষের প্রতীকসহ লিফলেট বিতরণ ও পোষ্টার টাঙ্গাতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা, মামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গ্রেফতার শুরু করে কুলাউড়া থানার অতি উৎসাহী কিছু পুলিশ। কুলাউড়া থানার পুলিশ ক্রমশ বেপরোয়া হয়ে উঠে।

তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, তারা আমার নির্বাচনী সভার মঞ্চ ভাংচুরসহ আমার সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারে বাঁধা দিচ্ছে।

সম্প্রতি কুলাউড়ায় নির্বাচনী গণসংযোগকালে গাড়ি বহরে পুলিশি বাঁধার ঘটনায় গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী ৩ পুলিশ আহত হওয়ার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সুলতান মনসুর বলেন পুলিশের উপর হাত তোলার বিষয়টা অপপ্রচার, আমাকে যারা জানেন এবং চিনেন কেবল তারাই বলতে পারবেন সত্যটা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, কুলাউড়া-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের কুলাউড়া-২ আসনের প্রধান নির্বাচনী উপদেষ্টা নবাব আলি আব্বাস, কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা এডভোকেট আবেদ রাজা, কুলাউড়া উপজেলা বিএনপি নেতা ও কুলাউড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান সেলিম ও সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মুজিবুর রহমান ।

এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার প্রতিনিধিরা।

(একে/এসপি/ডিসেম্বর ২৭, ২০১৮)