স্টাফ রিপোর্টার : হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান গুও পিং তার নতুন বছরের জন্য বক্তৃতায় বলেন যে ২০১৮ সালে প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির রাজস্ব আয় ১০৮.৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াতে পারে, যা বিগত বছরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। তিনি উল্লেখ করেন, হুয়াওয়ে এখন পর্যন্ত ২৬টি ফাইভ-জি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এছাড়াও ২০১৮ সালে স্মার্টফোন বিক্রিতে হুয়াওয়ে ২০০ মিলিয়ন ইউনিট অতিক্রম করবে বলে আশা করা হচ্ছে। হুয়াওয়ে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন বিক্রেতা।

গুও পিং বলেন, “আমরা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্যারিয়ারগুলির সাথে ৫জি এর জন্য ২৬টি বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছি এবং ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী ১০ হাজারেরও বেশি ৫জি বেইজ স্টেশন হস্তান্তর করেছি। ১৬০টিরও বেশি শহর এবং ২১১টি ফরচুন গ্লোবাল ৫০০ অন্তর্ভূক্ত কোম্পানি তাদের ডিজিটাল রূপান্তরে অংশীদার হিসাবে হুয়াওয়েকে নির্বাচিত করেছে।”

“হুয়াওয়ের ব্যবসায়িক নীতিমালা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং এই কারনেই আমরা গ্রাহকদের কাছে এতোটা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পেরেছি। আগামী বছরের মধ্যে আমরা ডিজিটাল রূপান্তর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিকাশের নতুন মাত্রা দেখতে পাবো। এ ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে হয়তো। কিন্তু এরকম সময়ে আমরা অবশ্যই চাই আমাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধি করতে, সামগ্রিক কার্যক্রমের মান আরও উন্নত করতে এবং আমাদের বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের সকল চাহিদা পরিপূর্ণ করে সামনে এগিয়ে যেতে। একটি বিষয় শক্ত করে বলতে চাই, হুয়াওয়ে কখনোই নিরাপত্তা হুমকির কারন ছিলো না এবং হবেও না।”

“এই মুহূর্তে আইসিটি পণ্যতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গ্রাহকদের বিশ্বস্ততা অর্জন যে কোনো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শক্তিশালী সফ্টওয়্যার প্রকৌশলের মাধ্যমেই এই বিশ্বাসটি গড়ে তোলা সম্ভব। আমরা নিজেদেরকে সর্বোচ্চ মানদণ্ডে রাখব, সাইবার নিরাপত্তা এবং গ্রাহকদের গোপনীয়তার সুরক্ষা প্রদান করবো। এটিই হুয়াওয়ের প্রধান লক্ষ্য। আমরা আগামী পাঁচ বছরে আমাদের সফটওয়্যার প্রকৌশলের ক্ষমতা যথাযথভাবে উন্নত করতে, আমাদের প্রতিটি পণ্য ও সল্যুশনগুলিতে সর্বোচ্চ মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা করছি।”

(পিআর/এসপি/ডিসেম্বর ২৮, ২০১৮)