প্রবীর বিকাশ সরকার : তিরিশ বছরের প্রবাসযাপনের ঝুলিতে কত যে ঘটনা আর স্মৃতি জমা হয়েছে এবং এখনো জমা হয়ে চলেছে তার হিসাব করা কঠিন ব্যাপার! মাঝেমধ্যে কোনো কোনো মানুষ বা ঘটনা এই প্রবাসে এমনভাবে হাড় মাংস হৃৎপিণ্ড-জুড়ে নাড়া দেয় তখন অনুভব-অনুধাবনের রগরেখাগুলো লাফিয়ে ওঠে ভীষণভাবে! যেমনটি হঠাৎ করে বড় কোনো মাছ বড়শিতে আটকে গেলে ছিপটি টান টান বাঁকা হয়ে যায় তেমনি আমাকে বাঁকা করে দিয়েছেন একজন লড়াকু মানুষ, তিনি দোহারের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান শেখ এমদাদ হোসেইন যাকে প্রবাসীরা খুব ভালো করেই চেনেন।

বিগত ২০ বছরে তার কৃত কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে যে, এই জাপানে স্বদেশপ্রেমে উদ্বেল প্রবাসী একেবারেই আঙুলে গোনা। বিদেশ-বিভুঁইয়ে সবাই ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অথবা অর্থোপার্জনের জন্য আসেন এটা স্বতঃসিদ্ধ। স্বদেশের পরিবারের জন্য কষ্টার্জিত অর্থ প্রেরণ করে এবং জায়গাজমি বৃদ্ধি করেই দায়িত্ব-কর্তব্য শেষ করতে বদ্ধপরিকর অনেকেই। কিন্তু নিজের দেশ, নিজের জাতি, নিজের সংস্কৃতিকে বিকাশের বা লালনের জন্য স্বপ্ন বলে একটি মানবিক বিষয় কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের বা স্বার্থের আড়ালে জেগে থাকে।

অবশ্যই প্রবাসে স্বদেশের জন্য কাজ করা সহজসাধ্য নয়। কঠিন, সমস্যাবহুল এবং বাস্তবমুখী জীবনযাপনে প্রতিদিন বিজয়ী হওয়ার লড়াইয়ে উন্নয়নকামী দেশের নাগরিকরা কাহিল থাকেন, সেখানে জন্মভূমিকে নিয়ে কাজ করার সুযোগ বা তৌফিক কোথায়? তাই বলে থেমে থাকবেন না এমন মানুষকেও আমরা প্রত্যাশা করি। এটাও ঠিক এই ধরনের মানুষ গভীর স্বাদেশিকবোধ থেকে জাতীয়তাবাদী হয়ে ওঠেন। শেখ এমদাদ তেমনি একজন মানুষ। আপদমস্তক খাঁটি ন্যাশনালিস্ট।

কিন্তু প্রকৃত ন্যাশনালিস্ট না ইন্টারন্যাশনালিস্ট হওয়া খুব কঠিন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খাঁটি ন্যাশনালিস্ট ছিলেন, বঙ্গবন্ধুও তাই। যেজন্য তারা ইন্টারন্যাশনালিস্ট হতে পেরেছিলেন। কিন্তু এর জন্য প্রচুর শ্রম ও অর্থ খরচ করতে হয়। সেটা তো সবার হয় না। কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন শেখ এমদাদ সব শক্তি নিয়োগ করেছেন, লক্ষ্য জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের সেতুটাকে শক্তিশালী করা। এই দুর্গম পথটিকে সুগম করার জন্য তিনি তার জাপানি সহধর্মিণীকেও ক্রমশ বাঙালি করে তুলেছেন। এর কারণ সম্পর্কে তিনি এই লেখককে বলেন, ‘দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও বিভিন্ন ইতিহাস পাঠ করে বুঝতে সক্ষম হয়েছি যে, বাংলাদেশের প্রকৃত কোনো বন্ধু নেই, জাপানেরও নেই। তাই এই দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্ব হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। তাছাড়া এই সোনালি সুযোগটাকে কার্যকর করে তুলতে পারে জাপান-বাংলা সম্পর্কের শতবর্ষ প্রাচীন ইতিহাস যা আসলে বৃহত্তর বাংলাদেশি বা বাঙালি জাতির কাছে অজানাই রয়ে গেছে। সেটাকে ভিত্তি করে কাজ করে যেতে চাই।’

সেই ইতিহাসটা কি? জাপানের নমস্য পণ্ডিত ওকাকুরা তেনশিন ১৯০২ সালে কলকাতায় গিয়ে স্বামী বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন। রবিঠাকুর পাঁচবার জাপান ভ্রমণ করেন। এই সম্পর্ক পরবর্তীকালে সুদূরপ্রসারী হয়। শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্কে উত্তরণ ঘটে। ওকাকুরার শিষ্য বৌদ্ধপণ্ডিত কিমুরা নিক্কি ১৯০৭ সালে চট্টগ্রামে যান। এর আগে ১৯০৬ সালে ঢাকায় ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে হরিপ্রভা মল্লিককে বিয়ে করেন জাপানি নাগরিক উয়েমোন তাকেদা। কিমুরা নিক্কি পরবর্তীকালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক হয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথও নেতাজির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। বিপ্লবী রাসবিহারীর অক্লান্ত পরিশ্রম ও কূটনীতির কারণে নেতাজির জাপানে আগমন ঘটে ও প্রধানমন্ত্রী তোজো হিদেকির সঙ্গে যৌথভাবে পরাধীন ভারতকে স্বাধীন করার জন্য লড়াই করেন ব্রিটিশের বিরুদ্ধে। আরও বহু ঘটনার ইতিহাস রয়েছে এই শতবর্ষ সম্পর্কের ভেতরে। শেখ এমদাদের ভাষ্য : ‘জাপান বাংলাদেশকে চেনে, জানে এবং এত সাহায্য-সহযোগিতা করছে তার পেছনে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ধারাবাহিকতা কার্যকর। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানিরা কি রকম সোচ্চার ছিলেন তার তো ইতিহাস আছে। বঙ্গবন্ধু ছিলেন নেতাজির আদর্শ অনুসারী এই বিষয়ে জাপানি প্রবীণ রাজনীতিবিদরা বরাবরই সচেতন। যে কারণে ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী কাকুয়েই তানাকা। এবার যেমন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোও প্রাণঢালা সংবর্ধনা দিয়েছেন। এই আবে শিনজোও হচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কিশি নোবুসুকের দৌহিত্র। কিশি নোবুসুকে ছিলেন ঐতিহাসিক টোকিও ট্রাইব্যুনালের ভারতীয় বিচারপতি ড. রাধাবিনোদ পালের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। রাধাবিনোদ পালের জন্ম বাংলাদেশের কুষ্টিয়ায়, ভারতে প্রতিপালিত হয়েছেন। জাপানিরা সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করেন এই বীর মানুষটিকে। কাজেই ইতিহাসটা শুধু সাংস্কৃতিক নয়, রাজনৈতিক এবং গুরুত্বপূর্ণ এশিয়ার জন্য। কিন্তু এসব বোঝার মতো বাঙালি জাপানে খুব কমই আছেন।’

মুক্তিযুদ্ধের প্রতি অবিচল এ যুগের মুক্তিযোদ্ধা শেখ এমদাদ দীর্ঘ বিশ বছর ধরে বঙ্গবন্ধু পরিষদ জাপান শাখাকে ধরে রেখেছেন। উল্লেখযোগ্য কাজ তিনি করেছেন যা রাষ্ট্রদূতের কাজের এখতিয়ারে পড়ে। জাপানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নে আজ পর্যন্ত উল্লেখ করার মতো কাজ করেনি বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্ভবত এই শূন্যতা পূরণ করার জন্যই শেখ এমদাদ এগিয়ে এসেছেন। তিনি জাপানের প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবী ও রাজনীতিবিদদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলেছেন যা অন্যদের পক্ষে সহজে সম্ভব নয়। রাষ্ট্রদূত না হয়েও রাষ্ট্রদূতের দূতিয়ালি করছেন দুই দেশের সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে। এই জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি যেমন সন্তুষ্ট তেমনি আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দও। তাকে লিখিতভাবে প্রাধিকার প্রদানও করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক কাজগুলোর মধ্যে ২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সভায় পৈশাচিক বোমা হামলার ঘটনায় তিনি জাপানে সোচ্চার ছিলেন। প্রতিবাদ সভা করেছেন জাপানি ব্যক্তিত্বদের নিয়ে একমাত্র তিনিই। শুধু তাই নয়, জননেত্রী শেখ হাসিনার চিঠি জাপানি ভাষায় অনুবাদ করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোও তখন ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা, এখনকার বিরোধী দলীয় নেতা প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাৎসুইয়া ওকাদা, প্রাক্তন মন্ত্রী হিরানুমা তাকেও, সাংসদ শিন সাকুরাই, ইতোও কোওসুকে, তাকাশি ফুকাইয়া, রাজনীতিবিদ ইশিকাওয়া তামোন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক অধ্যাপক ড. পেমা গিয়ালপো, জাপানের শীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক অধ্যাপক কাজুও আজুমা, অধ্যাপক ভাষাবিদ ড. সুয়োশি নারা, মানবাধিকার আন্দোলনের নেতা শুউ সুগাওয়ারা, প্রভাবশালী রাজনৈতিক চিন্তাবিদ তোওয়ামা অকিসুকে প্রমুখকে প্রতিলিপি প্রদান করেন।

২০১২ সালে আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতা ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দুইবার জাপানে আমন্ত্রণ জানান শেখ এমদাদ। প্রথমবার ২০০৫ সালে দ্বিতীয়বার ২০১২ সালে। দুইবারই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন যাতে করে বাংলাদেশের চলমান ঘটনাপ্রবাহ একজন জননেতার মুখে জাপানিরা শুনে অনুধাবন করতে পারে। নিঃসন্দেহে একটি অসামান্য কাজ সাধন করেছেন শেখ এমদাদ। আরও একটি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন ২০১২ সালে টোকিওর বিখ্যাত আওয়ামা গাকুইন দাইগাকু বিশ্ববিদ্যালয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের একটি সেমিনারের আয়োজন করে।

যতবার আওয়ামী ঘরানার রাজনীতিবিদ বা বুদ্ধিজীবী জাপানে এসেছেন শেখ এমদাদ সাধ্যমতো তাদের সময় দিয়েছেন এবং সংবর্ধনা দিয়ে সম্মান জানিয়েছেন। বাংলাদেশেও তিনি ও তার সহধর্মিণী ডা. ইয়ামাদা ইরিকো সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে চলেছেন। এহেন কৃতী-কর্মঠ স্বল্পভাষী মানুষকে এবার প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরে মূল্যায়ন তো দূরের কথা, নেত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতেও ব্যর্থ হয়েছেন রহস্যজনকভাবে। নাগরিক সংবর্ধনায় যার মঞ্চে উপবিষ্ট হওয়ার কথা ছিল, সজ্ঞানে তাকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকি তিনি মোটা অঙ্কের চাঁদাও দিয়েছেন সংবর্ধনার জন্য। তার দীর্ঘ কর্মকাণ্ডের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়েই ষড়যন্ত্রকারীরা এটা করেছে বলে অভিজ্ঞমহলের ধারণা। মঞ্চে এমন মুখও দেখা গেছে জাপানে বাংলাদেশি রাজনীতি বা প্রবাসী কল্যাণে যাদের কোনো উল্লেখযোগ্য ভূমিকাই নেই বলে জানালেন দীর্ঘদিনের প্রবাসী জনৈক শিক্ষক। এবার ব্যাপক টাকার খেলা চলেছে। টাকা দিয়ে নেত্রীর পাশে বসার আসন কিনে নেওয়া হয়েছে যা বিস্ময়কর বলেও একজন প্রবাসী প্রকৌশলী তার অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

এবার শেখ এমদাদ যে কাজটি করেছেন যা প্রকৃত রাষ্ট্রদূতের মতোই করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়। তিনি এই লেখককে জানান, ‘৫ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে আমি সস্ত্রীক দেশে ছিলাম। তখন নির্বাচনে বিরোধী দল ও ধর্মান্ধগোষ্ঠী সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে কীভাবে বাধার সৃষ্টি করেছে, অগ্নিসংযোগ করে ঘরবাড়ি পুড়িয়েছে, মানুষ মেরেছে ইত্যাদি ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন জাপানি ভাষায় লিখে বাংলাদেশে জাপানি দূতাবাসে পাঠাই। আবার জাপানে ফিরে এসে একই বিষয়কে কেন্দ্র করে নতুন সরকারের স্বীকৃতির জন্য জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদদের কাছেও লিখিতভাবে আবেদন জানাই। এর আগে জাপানস্থ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে ফোন করে এই বিষয়ে কোনো কাজ করছেন কি না জিজ্ঞেস করি। তিনি বলেন, ‘সরকার থেকে কোনো আদেশ আসেনি।’ যা হোক, আমি একটি প্রতিবেদন নিয়ে বর্তমান ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী আসোও তারোওর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি। তিনি সেটা পড়েন। এবং বলেন, আমরা শিগগিরই একজন প্রতিনিধি পাঠাব বাংলাদেশে। এই সংবাদটি আমি ফেসবুকে প্রকাশ করি। রাষ্ট্রদূতকেও জানাই। ফেব্রুয়ারি মাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন এবং সরকারপ্রধান আবে শিনজোওর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জাপান সফরের আমন্ত্রণ জানান। এরপর তোড়জোড় শুরু হয় জাপানেও। জাপানে নেত্রীকে নাগরিক সংবর্ধনার জন্য ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় রাষ্ট্রদূতকে কেন্দ্র করে। আমিও তার মধ্যে একজন সদস্য। কথা হয়েছিল যে, মঞ্চ ছোট হলে যারা মঞ্চে বসবেন বক্তৃতা দিতে পারবেন না আর যারা বসতে পারবেন না তারা মঞ্চে উঠে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু দৃশ্য ছিল সম্পূর্ণ উল্টো।’

তারও ইচ্ছা ছিল কিছু কথা বলার জাপান প্রবাসী ও জাপানিদের উদ্দেশে। এমনকি তার স্ত্রী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সিনিয়র কর্মীদের জাপানি স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরও নাম দিয়েছিলেন কিন্তু
তাদেরও নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে সংবর্ধনা সভায় প্রবেশ করতে পারেননি কেউ। এটা একটা দারুণ সুযোগ ছিল মতবিনিময় করার। এটা প্রথাবিরুদ্ধ নাগরিক একটা সংবর্ধনা হয়েছে
বললে অত্যুক্তি হয় না কারণ রাষ্ট্রদূতকেও মঞ্চে দেখা যায়নি। এলোমেলো ছিল পরিচালনাও।

যুগে যুগে এভাবেই প্রকৃত কর্মী, স্বদেশপ্রেমিকরা ভুল লোকদের লোভ আর প্রতারণার শিকার
হন, শেখ এমদাদ তাদেরই একজন। এই ঐতিহ্য কবে ভাঙবে কেউ বলতে পারে না।

-:লেখক জাপান প্রবাসী:-

(এটিআর/জুলাই ২০, ২০১৪)