জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুরে মধ্যরাতে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগীতায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি, কেন্দ্র দখল করে নৌকা প্রতীক ব্যতিত ধানেরশীষসহ অন্য প্রার্থীদের এজেন্ট কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে জোরপুর্বক ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করে পুনরায় নির্বাচনের দাবী করেছেন জামালপুর-৫ (সদর) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিএনপির অ্যাডভোকেট ওয়ারেছ আলী মামুন।

জামালপুর জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ের সামনে রোববার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অভিযোগ করেছেন তিনি। পুনরায় নির্বাচনের দাবীতে রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ের বারান্দায় অবস্থান নেয় এই প্রার্থী।

তিনি আরো বলেন, ভোটের আগের দিন সন্ধা থেকে ধানেরশীষ প্রতীকের কর্মী সমর্থক ও পুলিং এজেন্টদের বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে হুমকি,হামলা ভাংচুর করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। ভোটের আগের দিন মধ্যরাতে ৩০/৩৫টি কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগীতায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। ভোটের দিন সকাল ৯টার মধ্যে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রে ধানেরশীষ প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে জোরপুর্বক সিল মারে। বাঁধা দিতে গেলে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি নুরুল মোমেন আকন্দ কাউসারসহ ১০ বিএনপির নেতাকর্মী আহত হয়। পুনরায় নির্বাচনের দাবীতে জেলা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

জামালপুর-২ (ইসলামপুর) আসনেও ৮৮ কেন্দ্রের মধ্যে ২৯টি কেন্দ্রে ৭৫ শতাংশ ভোটে মধ্যরাতে সিল মেরে ব্যালট বাক্সভর্তি করে নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় ২৭টি কেন্দ্র দখল করে সিল মেরেছে বলে অভিযোগ করেছে ঐক্যজোটের প্রার্থী বিএনপির সুলতান মাহমুদ বাবু। রোববার সকাল ১১টায় ইসলামপুর বাজারে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে সংবাদ সন্মেলনে ভোট প্রত্যাক্ষান করে এই অভিযোগ করেছেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, কেন্দ্র দখল করে সিল মারার অভিযোগ আইন শৃংখলা বাহিনী ও সহকারী রির্টানিং অফিসারের কাছে অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাইনি। ফলে দলের নেতাকর্মী ও ভোটারদের জানমালের নিরাপত্তার দিকে তাকিয়ে প্রহসনের নির্বাচন প্রত্যাক্ষান করলাম।

জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল সাংবাদিকদের কাছে নির্বাচন নিয়ে একই অভিযোগ করে ভোট প্রত্যাক্ষান করেছেন।

(আরআর/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮)