স্টাফ রিপোর্টার : আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী মঞ্চ থেকে রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে  ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ এ ফলাফল ঘোষণা করছেন।

তবে এখনও আসনভিত্তিক ফলাফল পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে আসনগুলোর গণনা করা সর্বশেষ ফলই ঘোষণা করা হচ্ছে।

এর আগে জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনে সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম বিরতিহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন ১০ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৫৭৩ জন ভোটার।

ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতিও ছিলো লক্ষ্যণীয়। তবে সহিংসতার ঘটনায় দেশের ২২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া ভোটগ্রহণ চলাকালে দেশজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে।

এদিকে গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় সেখানে নির্বাচন স্থগিত করেছে ইসি। ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন রেখে পুনরায় তফসিল ঘোষণা করেছে সংস্থাটি।

এজন্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এক সঙ্গে ২৯৯ আসনের ভোটের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গঠিত হবে। যে দল বা জোট ১৫১ আসন পাবে, সেই দল বা জোটই পরবর্তী সরকার গঠন করবে।

এবার নির্বাচনে ৩৯টি নিবন্ধিত দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে মোট এক হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী এক হাজার ৭৩৩ জন। আর ১২৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (নির্বাচন পরিচালনা শাখা) ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, আওয়ামী লীগ ও শরিকদের মিলিয়ে নৌকা মার্কায় ২৭২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন বিএনপি ও তাদের শরিক দলের ২৮২ প্রার্থী।

আর সবচেয়ে বেশি প্রার্থী রয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের। হাতপাখা প্রতীকে দেশজুড়ে ২৯৯টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এই দলটি।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮)