রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের আটটি আসনে দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

রবিবার সকালে জেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা বাড়ে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গনণা।

এদিকে টাঙ্গাইলের ৮ টি আসনের মধ্যে বিএনপি’র ৫ জন প্রার্থী এবং জাতীয় পার্টির ১ জন প্রার্থী বিভিন্ন অভিযোগ এনে নির্বাচন প্রত্যাখান করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি করেছেন।

তারা হলেনÑ টাঙ্গাইল-১ (মধুপুর-ধনবাড়ি) আসনের সরকার শহীদুল ইসলাম, কারাগারে থাকা টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের প্রার্থী সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষে তার বড়ভাই জেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল আলম তোফা, টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের প্রার্থী লুৎফর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের প্রার্থী গৌতম চক্রবর্তী ও টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী।

৫ টি আসনে নির্বাচন প্রত্যাখানের বিষয়টি নিশ্চিত করে টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামছুল আলম তোফা বলেন, এটা প্রহসনের নির্বাচন। এতে জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগের লোকজন সিল মেরে ভোট দিয়ে দিয়েছে। আমাদের নেতাকর্মী ও এজেন্টদের কেন্দ্রে থাকতে দেয়া হয়নি। তাই আমরা নির্বাচন প্রত্যাখান করে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছি।

এছাড়া টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী আশরাফ সিদ্দিকী (লাঙ্গল) একই অভিযোগে নির্বাচন প্রত্যাখানের ঘোষণা দেন।

(আরকেপি/এসপি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮)