রূপক মুখার্জি, নড়াইল : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নড়াইল-২ আসন (লোহাগড়া ও নড়াইল সদরের আংশিক) থেকে বিশাল ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজা।

নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের চেয়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক। এখন শপথ নেয়ার পালা। তবে শপথের আগেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মনোনিবেশ করতে চান নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মর্তুজা।

সোমবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে নড়াইল শহরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে মাশরাফি বলেছেন, ‘নড়াইলবাসী স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছেন। আমার জন্য তারা অনেক কষ্ট করেছেন। এখন নড়াইলের জনগণের ওপর আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল। মানুষের অনেক চাওয়া-পাওয়া আছে। সেগুলো পূরণে ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, আগামী ৫ জানুয়ারি মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ৬ষ্ঠ আসর। তাই আপাতত এই টুর্নামেন্ট নিয়ে ভাবছেন রংপুর রাইর্ডার্সের অধিনায়ক।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সামনে আমার বিপিএল রয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি খেলা শুরু হবে। এ কারণে আগামীকাল মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) ঢাকায় ফিরতে হবে আমাকে। আমি এখন খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে চাই।’ গত বছর বিপিএলএ বিজয়ী রংপুর রাইর্ডার্সের অধিনায়ক যে প্রাইজ মানি পেয়েছিলেন, সেই টাকা দিয়ে মাশরাফি নড়াইল বাসির সেবার জন্য একটি অত্যাধুনিক এম্বুলেন্স কিনে দেন।

মাশরাফি বলেন, ‘জেলায় সরকারি যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তা যেন সঠিক ভাবে ব্যবহৃত হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আমি নির্বাচনী এলাকা বিশেষ করে লোহাগড়ার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখেছি, সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক খারাপ রয়েছে। আমরা সড়কগুলো যেন দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে পারি, সে কারণে ঠিকাদাররা যেন ভালো ভাবে কাজ করে তার খেয়াল রাখতে হবে। সড়ক, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষিসহ সব সেক্টরেই কাজ করতে হবে। ব্যক্তিগত চাহিদা থেকে সমষ্টিগত চাহিদার দিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ ব্যক্তিগত বিষয়ে একজনই ফল ভোগ করে, আর সমষ্টিগত দাবি পূরণ করলে এলাকার অনেকে তার ফল ভোগ করতে পারে।’

নব নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘মানুষের ভেতরে খারাপ-ভালো সবই আছে। আমাদের ভালো দিক গুলোকে ফুটিয়ে তুলতে হবে। খেলাধুলার উন্নয়নে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হবে। শিক্ষার্থীরা যেন স্কুল-কলেজ শেষ করে খেলার মাঠে যায়, তারা যেন খেলাধুলা করতে পারে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।

(আরএম/এসপি/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮)