কাপাসিয়া (গাজীপুর) প্রতিনিধি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-৪, কাপাসিয়া আসনে টানা তৃতীয় বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে বঙ্গতাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমি সোমবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। জনাকির্ণ সংবাদ সম্মেলণে তিনি বরাবরের মতোই কাপাসিয়াকে একটি মানবিক ও আধূনিক কাপাসিয়া গড়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন। 

উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলণের শুরুতেই তিনি প্রতিপক্ষ ধানের শীষের প্রার্থী শাহ্ রিয়াজুল হান্নান নির্বাচনে অংশ গ্রহন করার জন্য তাকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানান। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি আর একক ভাবে কারো নয়, বরং তিনি সকল মতের লোকজনের অভিভাবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি সর্বক্ষেত্রে উপস্থিত সাংবাদিকদের গঠনমূলক পরামর্শ ও সমালোচনা আশা করেন। তিনি তাঁর বিজয়কে কাপাসিয়া বাসির বিজয় তথা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রনী ভূমিকা পালকারী বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদের আদর্শের বিজয় বলে মনে করেন। দেশ, জাতীয় ও সমাজের প্রতি তাজউদ্দীন আহমদের চিন্তা ভাবনা কতোটুকু ছিল, তা আমরা তাঁর মৃত্যুর পর জানতে পারছি। তাজউদ্দীন আহমদ মানুষের অনুভূতিকে অনুধাবন করতে পারতেন।

তিনি বলেন, আমরা নতুন পথের সন্ধানে কাজ করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য হবে মানুষের দুঃখ কষ্টকে কম করে নিয়ে আসা। আমার কাছে সবাই সমান, সবাই নিরাপদ। সমাজের প্রত্যেকটি মানুষের যথাযথ মূল্যায়ন এবং যোগ্যতা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠা দিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করা। প্রতিপক্ষের কেউ যেন দলীয় নেতা-কর্মীদের দ্বারা হয়রানী বা কষ্ট না পায় তার জন্য সবার প্রতি উদাত্ত আহবান জানান। সবাইকে ধৈর্য ধারন করে কাপাসিয়াকে মানবিক কাপাসিয়া গড়ায় সহযোগিতা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সত্য ও সুন্দরের প্রকাশ হলো সংস্কৃতি। আর আমাদের ব্যক্তি সংস্কৃতি পরিবর্তন করতে হবে। বিগত দিনে আমার নেতা-কর্মীরা আমাকে অনুস্মরণ করেছে, সেই জন্য সবাইকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। আমাকে দিয়ে কাপাসিয়ার কোন ক্ষতি হবে না। মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ ও রাস্তা-ঘাটের আমুল পরিবর্তন করতে চাই। এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠির কথা চিন্তা করে তিনি এক টাকায় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে চান। দলের প্রত্যেকটি পদধারী নেতাদের যেন পদ অনুযায়ী তাদের ভূমিকা থাকে সে জন্য নেতা-কর্মীদের পরামর্শ দেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, প্রত্যেককে তার নিজের সন্তানের কথা চিন্তা করে মাদক নির্মূল এবং বাল্য বিয়ের ব্যাপারে বিশেষ ভূমিকা রাখা এবং এব্যাপারে কোন খবর থাকলে গোপনে তাঁকে বলার জন্য আহবান জানান। স্থানীয় শীতলক্ষ্যা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য ডেজিং করার ব্যবস্থা গ্রহন এবং সকল ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি আলহাজ্ব মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, এমপি সিমিন হোসেন রিমি’র স্বামী মোস্তাক হোসেন, জাতীয় রেলওয়ে শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান আকন্দ, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান প্রধান, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলমগীর হোসেন আকন্দ, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুব উদ্দিন সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন প্রধান, উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী রওশন আরা সরকার, সহ-সভানেত্রী কামরুন নাহার রীনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল কাইয়ূম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈকত, কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল হাসান মামুন প্রমুখ।

(এসকেডি/এসপি/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮)