ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের বর্ষিয়াণ প্রার্থী ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিসেম্বরে ৫ম বারে আবারো হেসেছেন বিজয়ের হাসি। একাদশ নির্বাচনে দুই লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। এবারে নিয়ে তিনি ৭টি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করনেন। আলোচিত ১৯৭৯ ও ১৯৮৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচন ছাড়া ১৯৯৬ হতে পর পর ৫ বার বিজয়ী হলেন। ফলে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের চড়াই-উতরাইয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবারেও নির্বাচনে বিজয়ের শেষ হাসিটা তিনিই হেসেছেন।

পাবনা জেলা স্কুলের ছাত্র হ্যাফপ্যান্ট পড়া অবস্থায় ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাজপথে পদার্পণ। এরপর ১৯৬২ এর ছাত্র আন্দোলন, ১৯৬৬ এর ছয় দফা এবং ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে তিনি ছিলেন রাজপথের লড়াকু সৈনিক। ১৯৭১ সালে মুক্তিকামী তরুণদের সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েন। স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর হতে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমল পর্যন্ত ৭ বছর তিনি কারারুদ্ধ থেকে নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন। তাঁর এবং পরিবারের সদস্যদের উপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে একাধিকবার। ব্যক্তিজীবনে তাঁর ১০ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় পুত্র সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়। সুখে-দুঃখে স্ত্রী কামরুন্নাহার শরীফ সংসার আগলে রাখার পাশাপাশি রাজনীতিতেও নজিরবিহীনভাবে সহযোগিতা করে চলেছেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান। ঈশ্বরদী রেলগেটে ফ্লাইওভার নির্মাণ, সরকারি কলেজে মাষ্টার্স কোর্স চালু, মহিলা কলেজ সরকারিকরন, আটঘোড়িয়ায় কৃষি কলেজ প্রতিষ্ঠা, ভারতগামী মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেনে ঈশ্বরদীতে যাত্রী উঠানামার ব্যবস্থা, পাবলিক লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠা, জংশন স্টেশন রিমডেলিং, ষ্টেডিয়ামের উন্নয়ন, বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বন্ধ করে দেয়া পাকশী পেপার মিল এবং বিমানবন্দর চালুসহ এলাকার সকল গ্রামকে শহরে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য রয়েছে।

ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ভুমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী করতে দলীয় সকল স্তরের নেতা-কর্মী ছাড়াও পেশাজীবিরাও এবারে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এজন্য তিনি ঈশ্বরদী ও আটঘোড়িয়াবাসীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

(এসকেকে/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০১৯)