শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট : থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন ও ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদেও মিলন মেরায় পরিনত হয় সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। এজন্য মোংলা শহর ও শিল্প এলাকার হোটেল-মোটেলগুলো লোকজনে পরিপূর্ণ। এছাড়া ট্যুরিস্ট লঞ্চ, জালি বোট ও ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানে অনেক দেশি-বিদেশি পর্যটক সোমবার ভোর থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে শুরু করে। 

থার্টিফাস্ট নাইট ও নতুন ইংরেজি বছরকে বরণ করতে সুন্দরবনের করমজল, হাড়বাড়িয়া, হিরণপয়েন্ট, কটকা, কচিখালী ও দুবলার চরে উৎসব কাটাতে নৌ বিহারে পর্যটকরা বনের এ সকল স্পটে অবস্থান নিয়ে আনন্দ উপভোগ করছেন। এদিকে একসাথে অনেক পর্যটকের ভিড় বাড়ায় রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ী ও সুন্দরবন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে বিগত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার ভোর থেকে সুন্দরবনে পর্যটকদের সংখ্যা কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও গাইডের জন্য সুন্দরবন বিভাগের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করছেন।

মোংলার পর্যটন ব্যবসায়ী দি সাউদার্ন ট্যুরসের মালিক মো. মিজানুর রহমান ও দি জিআরএস ট্যুরস এন্ড ট্যাভেলসের মালিক মো. এমাদুল বলেন, সুন্দরবনের অভ্যন্তরে থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপন ও ইংরেজি নতুন বছরকে বরণের জন্য তাদের লঞ্চ ২টি দেশী-বিদেশী ২ শতাধিক পর্যটক নিয়ে ৩১ ডিসেম্বর ভোরে সুন্দরবনে প্রবেশ করে। মঙ্গলবার তারা সুন্দবনের সৌন্দর্য্যের আধার কটকা পর্যটন এলাকায় অবস্থান করছেন। এ সকল দর্শনার্থীরা আরো দু’একদিন সুন্দরবনেই থাকবেন।

তারা আরো বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যান চলাচলে বিধি নিষেধ না থাকলে আরো অনেক বেশি পর্যটক আসতো। নির্বাচন ও যানবাহন চলাচল বন্ধের কারণেই বিশেষ করে অনেক বিদেশী তাদের পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল বাতিল করেছেন। তারপরও আনন্দ উপভোগে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ছুটে আসছেন সুন্দরবনে।

মোংলা-রামপাল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম বলেন, সুন্দরবনে বসেই নতুন বছর বরণ ও থার্টিফাস্ট নাইট উদযাপনে আসা পর্যটকদের বাড়তি নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি কোস্টগার্ড সদস্যরাও নিয়োজিত রয়েছেন। মোংলার পিকনিক কর্ণার ও ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এছাড়া জয়মনি নৌ পুলিশ ফাড়ির সদস্যরাও নৌ পথে টহল বৃদ্ধি করেছেন। সুন্দরবন ও মোংলা সমুদ্র বন্দরে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তায় হোটেল-মোটেলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণস্থানে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০১৯)