তৌহিদ তুহিন, চুয়াডাঙ্গা : ‘দেইখ্যা লন, বাইছ্যা লন,পঞ্চাশ টাকা-পঞ্চাশ টাকা, একশ,দেড়’শ টাকা। এভাবেই কিছুকিছু সময় হ্যাক মেরে হরদম চলছে বেচাকিনা। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কোর্টের সামনে, পোষ্ট অফিসের সামনে, রেল বাজার সংল্গন ও আলিয়া মাদ্রাসসহ বিভিন্নস্থানে চলছে শীত নিবারণে জন্য গরম কাপড় কেনায় ব্যস্ত মানুষের ভিড়। শীতের কাপড় কেনা বেচায় ভিড় চোখে পড়ার মত দোকনগুলোতে ।

পা থেকে মাথা পর্যন্ত শীত নিবারণ করতে গরম কাপড় কেনায় ব্যস্ত মানুষ। উচ্চ আয়ের মানুষেরা বিভিন্ন নামি-দামি শপিং মল থেকে বিভিন্ন রকমের গরম কাপড় কিনতে পারলেও চুয়াডাঙ্গার নিম্ন আয়ের মানুষের একমাত্র ভরসা হকারদের বিক্রি করা গরম কাপড়।

তীব্র শীত আসতে এখনো কিছু সময় বাকি। তবে ইতোমধ্যেই জমে উঠেছে গরীবের শীতের ফুটপাতের দোকানগুলো। এ ব্যবসাও চলছে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত।

ফুটপাতের দোকানগুলো মূলত নিম্ন আয়ের লোকজন কাপড় কিনে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে উচ্চ আয় ও মাঝারি আয়ের লোকজনেরাও এখান থেকে কাপড় কিনছেন। বছরের অন্যান্য সময় এখানে কোন দোকান চোখে না পড়লেও শীতকে সামনে রেখে গরম কাপড় বিক্রয়ের ব্যবসা জমজমাট হয়। এতেই ব্যবসায়ীরা ভালো লাভবান হয়ে থাকে বলে জানা যায়।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের কোর্টের সামনে,পোষ্ট অফিসের সামনে,রেল বাজার সংল্গন ও আলিয়া মার্দ্রাসা সামনে বা সরকারি পরিত্যক্ত জায়গা আনুমানিক ২২-২৫ দোকান বসেছে। আর দোকানগুলোতে ক্রেতাদেরও বেশ ভিড় লেগেই আছে। এই দোকানগুলোতে ২৫ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত শীতের কাপড় পাওয়া যায়। প্রতিদিন প্রতিটি দোকানে দশ থেকে বিষ হাজার টাকার বিক্রি হয় বলে জানায় ব্যবসায়ীরা।

অন্যান্যবারের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি বলে জানায় দামুড়হুদা লক্ষিপুর গ্রামে কলেজ ছাত্র সুজন আহম্মেদসহ কয়েকজন ক্রেতা। দাম বেশির কারণ সম্পর্কে বিক্রেতা রেলবাজারের শামীম আলী বলেন,গত বছরের তুলনায় প্রতিটি বেল্টে তাদের গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন হাজার টাকা। এই অতিরিক্ত টাকা দেয়ার পরও তাদের কিনতে হচ্ছে নিম্নমানের বেল্ট। যা বিক্রী করে মূলধন আর যাতায়াতের খরচই উঠানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, গত বছর পুরাতন শীতের কাপড়ের যে বেল্ট ঢাকা থেকে সর্বনিম্ন ১০ থেকে ১৬ হাজার টাকায় আনা যেত, এ বছর সেই বেল্ট আনতে হচ্ছে সর্বনিম্ন ১৬ থেকে ২৫ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।

(টিটি/এসপি/জানুয়ারি ০১, ২০১৯)