মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : পদ্মায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের কারণে মাওয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে আরো তিনটি ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এ নিয়ে মোট ১০টি ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। এতে মাওয়া ফেরি সেক্টরে এখন সচল ফেরির সংখ্যা দাঁড়ালো ছয়টিতে। একই সাথে পদ্মায় উল্টো স্রোতে ও জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি পারাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে।

মাওয়া বিআইডাব্লিউটিসি অফিসের ম্যানেজার (বাণিজ্য) সিরাজুল হক জানান, রবিবার সকাল থেকেই পদ্মায় প্রচণ্ড ঢেউ শুরু হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ঢেউয়ের মাত্রা আরো প্রকট হতে থাকে। শান্ত পদ্মা উয়ে উঠে উত্তাল। উত্তাল পদ্মার বুকে ডাম্প ফেরি চলাচল মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে দুপুর সোয়া ১টা হতে মাওয়া-কাওরাকান্দি নৌ রুটে ডাম্প ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তিনি আরো জানান, বর্তমানে এ নৌ রুটে মোট ১৬টি ফেরি রয়েছে। তার মধ্যে সাতটি ডাম্প ফেরি ঢেউয়ের কারণে বন্ধ করে দেওয়ায় ১০টি ফেরি দিয়ে নৌরুটে ফেরি পারাপার অব্যাহত ছিল। তবে রাত ৮টার দিকে ছোট আকৃতির একটি ও মধ্যম আকৃতির আরো দুটি ফেরি উত্তাল পদ্মায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। এতে মাওয়া ফেরি সেক্টরে এখন ফেরি সংকট চলছে। তবে পারাপারের অপেক্ষায় তেমন কোনো গাড়ি না থাকায় ফেরি পারাপারে আপাতত তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু গাড়ির মাত্রা বৃদ্ধি পেলে এখানে যানজটের সম্ভাবনা রয়েছে। আর এ অবস্থা চলতে থাকলে আসন্ন ঈদে এখানে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

বিআইডাব্লিউটিসির ম্যারিন অফিসার এ কে এম শাহজাহান জানান, মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পদ্মায় প্রচণ্ড ঢেউয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। পুরনো আমলের ডাম্প ফেরিগুলো প্রকৃতির এই ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে টিকে থাকতে পারছিল না। ফেরি মস্টাররা যেকোনো সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে এ সকল ফেরি পদ্মার যেকোনো নৌযানের ওপর, এমনকি লঞ্চ ও সিবোট ঘাটের ওপর উঠে গিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে এসব ফেরি বন্ধ রেখেছে বিআইডাব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ।

(ওএস/এস/জুলাই ২১, ২০১৪)