সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় রক্স প্রকল্পের আওতায় ৮০টি আনন্দ স্কুলের ১ হাজার ২৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। এর মধ্যে ১০ জন জিপিএ- ৫ সহ ১ হাজার ২১৮ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করেছে। এতে সমাজের বঞ্চিত ও ঝরেপড়া শিক্ষার্থীরা আলোর পথ ধরে সামনের দিকে এগিয়ে চলার সুযোগ পেলেও প্রকল্পটি মাঝপথে বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া গ্রহণের পথ বন্ধ হয়ে গেল।

চিরাং বাজার আনন্দ স্কুলের ছাত্র অভিভাবকগণের পক্ষে নূরুল ইসলাম জানান, রক্স প্রকল্পের অধিনে চিরাং বাজার আনন্দ স্কুল সহ সব স্কুলেই ভালো লেখাপড়া হয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঝরেপড়া এসব শিশুদের লেখাপড়ার পথই বন্ধ হয়ে গেল।

রক্স প্রকল্পের উপজেলা প্রশিক্ষণ সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আহমেদ জানান, কেন্দুয়া উপজেলায় ২০১৪ সাল থেকে এ প্রকল্পের শুরু। গত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ১ হাজার ২৯০ জন অংশগ্রহণ করে ১০ জন জিপিএ- ৫ সহ পাস করে ১ হাজার ২১৮ জন। কিন্তু বর্তমানে প্রকল্পটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এক দিকে যেমন এসব স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা সহ আটজন মোবাইল পুল শিক্ষক বেকার হয়ে পড়েছে তেমনি ঝরেপরা নতুন শিক্ষার্থীরা শিক্ষা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহানারা রোজি বলেন, এই প্রকল্পটি চালু থাকলে ঝরেপরা শিক্ষার্থীরা একদিকে শিক্ষার আলো পাবে অপর দিকে দেশের শিক্ষার হারও বাড়বে। তিনি শিক্ষা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইংরেজী বছরের প্রথম দিন সব শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার জন্য ছাত্র অভিভাবকদের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে কেন্দুয়া উপজেলা সহ সারা দেশের আনন্দ স্কুল গুলি রক্স প্রকল্পের মাধ্যমে চালু রাখার জোর দাবি জানান।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০১৯)