বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলায় এক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে আলী আহম্মদ গাজী নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষক উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত রয়েছেন।

অভিযোগকারী শিক্ষক আলী আহম্মদ গাজী লিখিত অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদিন লোকজন নিয়ে তার গতিরোধ করে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এবং তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। চেয়ারম্যানের চড়থাপ্পড়ে তার কানের পর্দা ফেঁেটে গেছে। তিনি শরণখোলা উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বলেন, আলী আহম্মদ গাজী জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী। আলী আহম্মদ গাজী দীর্ঘদিন ধরে গোপনে খোন্তাকাটার বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাসহ কেন্দ্রীয় জামায়াতের অন্যান্য নেতামের ফাঁসি রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান করতে সংগঠনে চাঁদা দেওয়ার প্রমান রয়েছে।

তাছাড়া তিনি জামায়াতে ইসলামী সংগঠনে নিয়মিত মাসিক চাঁদা দিয়ে থাকেন। এসব অভিযোগে গত ৩ ডিসেম্বর বাগেরহাটের ডিবি পুলিশ খোন্তাকাটায় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করেছিল। বর্তমানে আলী আহম্মদ গাজী শরণখোলার কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় বীরদর্পে চলাচল করে গোপনে জামায়াতের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। জামায়াতের কার্যক্রম বন্ধ করতে বলায় তিনি আমার ওপর আগে থেকেই ক্ষীপ্ত ছিলেন।

বানিয়াখালী গ্রামের মেহেদী হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদে জমিজমা সংক্রান্ত পাওনা টাকার একটি অভিযোগ করেন। তাকে বহুবার বলা সত্বেও পরিষদের আসেননি। উল্টো আমাকে নিয়ে বিভিন্ন রকম কটুক্তি করেন। একারণে ক্ষীপ্ত হয়ে আমার লোকেরা তাকে সামান্য দু-একটা চড় মেরেছে। এটাকে নিয়ে ওই জামায়াতী শিক্ষক অপপ্রচারে নেমেছেন।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার সমদ্দার বলেন, দুপুরে আলী আহম্মদ নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষক কানে ব্যাথা পেয়েছেন বলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎস্যা নিয়েছেন।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার সরকার বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষককে লাঞ্ছিতের কোনো ঘটনা তার জানা নেই। থানায় কেউ অভিযোগও করতে আসেনি।

(এসএকে/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০১৯)