রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : নবম সংসদ নির্বাচনের পর তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হয়েছিলেন। সে সময় দেশের স্বাস্থ্য বিভাগে যুগান্তকারী উন্নয়ন এনেছিলেন তিনি। এবার নির্বাচনে হ্যাটট্রিক করেছেন। তাই এবারও আমরা সাতক্ষীরার জনপ্রিয় সাংসদ ডা. আফম রুহুল হককে মন্ত্রী হিসাবে পেতে চায়। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তুলে ধরেন সাতলমঘীরা সম্মিলিত নাগরিক সমাজের নেতৃবৃন্দ।

তারা বলেন, স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নত মানে পৌছে দেওয়া ছাড়াও ডা. রুহুল হক মা ও শিশু মৃত্যু রোধ বিষয়ক জািতসংঘ ঘোষিত এমডিজি পুরস্কার অর্জনে গুাংত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন। তারই কারণে বাংলাদেশে মা ও শিশু মৃত্যু হার প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। তিনি সাতক্ষীরায় একটি মেডিকেল কলেজ, যুব উন্নয়ন কেন্দ্র, নার্সিং ট্রেইনিং সেন্টার গড়ে তুলেছেন এবং রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হিসাবে এখনও কাজ করে যাচ্ছেন। এমনকি ২০১৪ এর নির্বাচনের পর থেকে গত পাঁচবছর যাবত তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক দায়িত্ব পালন করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে সম্মিলিত নাগরিক সমাজের পলেমঘ বক্তব্য তুলে ধরেন সাবেক এমপি ডা. মোকলেছুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন , সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, এড. ওসমান গণি, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ এম আরাফাত হোসেন, জেলা স্বাপিচের সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে আরও বলা হয় গত দশ বছরে সাতক্ষীরায় যে উন্নয়ন হয়েছে তার নেপথ্যে রয়েছে ডা. রুহুল হকের অবদান। সম্প্রতি তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ০৩, ২০১৯)