স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আওয়ামী লীগ নেতা, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের শীর্ষনেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

নামাজে জানাজা শেষে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

রবিবার সকালে তার প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। জানাজার নামাজ পরিচালনা করেন সংসদ ভবন মসজিদের ইমাম ক্বারি মো. আবু রায়হান।

এ জানাজার মাধ্যমে জাতীয় সংসদ থেকে আশরাফুল ইসলামকে চিরবিদায় জানানো হলো।

জানাজার পর রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তাকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এ সময় বিউগলের করুণ সুর বেজে ওঠে। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণের পক্ষ থেকে মরহুমের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পন ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তার বিদেহী আত্নার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

৬৭ বছর বয়সী সৈয়দ আশরাফ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। কয়েক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় তার।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ জনপ্রশাসনমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

হাসপাতালে থেকেই তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ নৌকার প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছিলেন।

হেলিকপ্টারে করে আশরাফের মরদেহ নেয়া হবে তার গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ পুরনো স্টেডিয়াম মাঠে দ্বিতীয় জানাজা ও দুপুর ২টায় ময়মনসিংহ আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে তার মরদেহ আবারও ঢাকায় আনা হবে। বাদ আসর রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৯)