স্টাফ রিপোর্টার : গঠিত হতে যাওয়া মন্ত্রিসভাকে প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। তারা বলছেন, এই মন্ত্রিসভায় কোনও জনপ্রতিনিধি নেই। তারপরও আওয়ামী লীগ জাতীয় ঐক্যের একটি মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারত।

নতুন মন্ত্রিসভার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া বলেন, বিষয়টা খুবই দুরূহ, খুবই কঠিন। বিজয়ী হয়েছে বলে যারা ঘোষণা দিচ্ছে, তাদের এ বিজয়টাকে এদেশের জনগণ কীভাবে নিচ্ছে, সেটা একটা বিশাল প্রশ্ন থেকে গেল। সরকার গঠন করে তারা তাদের মতো চলবে, কিন্তু জাতি, রাষ্ট্র কীভাবে চলবে সেটা একটা প্রশ্ন থেকেই গেল। এটা তো কেউ আশা করেনি। কারণ সংলাপ হলো, সবকিছু হলো- একটা ভারসাম্যের মধ্য দিয়ে যদি বিজয়টা হত, তাহলে মানুষের মধ্যে এত সংশয় হতো না। এই বিজয় নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এখন যে মন্ত্রিসভা গঠন করছে, সেখানে বিরোধী দল যারা আছে, অথবা বাইরে আছে- যেমন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, তাদের আহ্বান করে যদি বলতো যেটা হয়েছে ঠিক আছে, সামগ্রিকভাবে আমরা মন্ত্রিসভা গঠন করি, আপনাদের পক্ষ থেকে দুইজনকে চাই বা বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণ জানাতো, ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড.কামাল হোসেনসহ কয়েকজনকে টেকনোক্রেট হিসেবে রাখতে পারতো। সামাগ্রিকভাবে যে প্রশ্নবিদ্ধ হলো নির্বাচন, সেটাকে কাভার দেয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের একটা মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারতো।’

অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, ‘যা হয়েছে বিএনপি তা কখনোই মেনে নিতে পারবে না। কিন্তু বর্তমান সরকারের যদি ওইভাবে একটা ভূমিকা থাকতো তাহলে কিছুটা হলেও প্রশমিত হতো। এখনও সময় যে নেই তা বলবো না, যদি প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে সরকারের তরফ থেকে, ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের যদি আন্তরিকভাবে আহ্বান জানানো হয়, ডাকার জন্য ডাকা না, তাহলে কিছুটা ইতিবাচক পথ তৈরি হতো।’

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাজাহান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছি। এই নির্বাচনে জনগণের রায়ের প্রতিফলন হয়নি। এই মন্ত্রিসভায় কোনও জনপ্রতিনিধি নেই।’

নতুন মন্ত্রিসভা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহাবুবুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অতীতের ভুল থেকে মানুষ শেখে। আমি মনে করি, বিএনপি এখন সামনে যেটায় করুক, অনেক চিন্তাভাবনা করেই করবে। তৃণমূলের বিএনপি নেতাকর্মীদের চিন্তা-চেতনার বিশ্লেষণ নিয়ে বিএনপি এগোবে।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৬, ২০১৯)