স্টাফ রিপোর্টার : চালের দাম বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জেলার চালকল মালিক ও চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) বৈঠকে বসছেন নতুন নিয়োগ পাওয়া খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

নিয়োগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রথম অফিসে আসলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বৈঠকে বসার কথা জানান।

হঠাৎ করেই নতুন বছরের শুরুতে ধান ও চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। মান ভেদে ধানের দাম মণে বেড়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। আর চালের দাম ৫০ কেজির বস্তায় বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। সে হিসাবে নতুন বছরে কেজিতে ধানের দাম বেড়েছে আড়াই থেকে ৩ টাকা। আর চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৬ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, মিল মালিকরা কারসাজি করে চালের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন।

চালের দাম বেড়েছে- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি সচিব সাহেবের সঙ্গে বসব। আমি চিন্তা করছি যে, প্রত্যেকটি জেলার চালকল মালিক সমিতির প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি ও চাল ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে ১০ তারিখে (জানুয়ারি) বসব।’

খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সাধন চন্দ্র বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কী চিন্তা করেছেন জানি না। খাদ্য মন্ত্রণালয় অনেক বড় মন্ত্রণালয়। এটাও ঠিক খুবই সেনসিটিভ মন্ত্রণালয়। (চালের দাম) দুই টাকা কমলেও দোষ, দুই টাকা বাড়লেও দোষ।’

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি সততা-নিষ্ঠা নিয়েই এ পর্যন্ত এসেছি। আপনাদের কাছে আমার প্রত্যাশা- আমার ভেতর যাতে অহংকার না ঢুকে। আমি যেন সততা বিসর্জন না দেই সেই দোয়া করবেন। এই দোয়া ও সততা নিয়েই খাদ্য মন্ত্রণালয় চালাতে চাই। আপনারা আমাকে সহযোগিতা করবেন।’

‘খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটু কিছু হলেই দুর্নাম শুরু হয়ে যায়। আমাদের এই দুর্নাম যাতে না হয়।’

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থেকে এই পর্যন্ত এসেছেন জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমার বোঝার মতো জ্ঞান আছে। আমি চাই আমরা সবাই একসঙ্গে একটা টিমওয়ার্ক করব। অনেক ফাইল সচিব হয়েই চলে যাবে, কিন্তু সেটা সততার সঙ্গে যেন আমার নলেজে থাকে।’

এই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরে দুর্নীতির কথা শোনা যায়- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সাধন চন্দ্র বলেন, ‘আমি সবে বসেছি। দুর্নীতি আছে কী নেই সেটা আমাকে আগে বুঝতে হবে। আমি তো ঢালাভাবে বলব না দুর্নীতি আছে।’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ০৮, ২০১৯)