শেওড়াপাড়ায় পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ-বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোর্টার : বকেয়া বেতন পরিশোধ ও মজুরি বাড়ানোসহ ১০ দফা দাবিতে রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে পোশাক শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে শেওড়াপাড়ায় আলফা ইউনিট ১ ও ২ লিমিটেড এর পোশাক শ্রমিকরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সেখানকার কয়েকটি গার্মেন্টস থেকে শ্রমিকরা নেমে রাস্তায় অবস্থায় নেন এবং যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
একইভাবে কয়েকদিনের ধারাবাহিকতায় বকেয়া বেতন পরিশোধ ও মজুরি বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি আদায়ের অংশ হিসেবে রাজধানীর কালশীতে সড়ক অবরোধ করে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা। পরে মালিকপক্ষের আশ্বাস ও পুলিশের অনুরোধে উঠে যান শ্রমিকরা।
তবে সর্বশেষ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত শেওড়াপাড়ার সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে বলে জানা গেছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি দাদন ফকির বলেন, ‘আমরা মালিকপক্ষকে ডেকে সড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে নিতে বলেছি। তারেদকে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ ও আন্দোলন যদি করতেই হয় তাহলে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানের ভেতরে করতে হবে। জনসাধারণের চলাচলে বাধা, জনশৃঙ্খলা ও জননিরাপত্তায় বাধা দেয়া যাবে না।’
শেওড়াপাড়ায় বিক্ষোভে অংশ নেয়া আলফা ইউনিট-১ লিমিটেডের পোশাক শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান স্যার আমাদের কথা দিয়েছিলেন আমাদের দাবি-দাওয়া মানবেন কিন্তু কথা অনযায়ী কাজের মিল পাইনি। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।
শ্রমিকদের ১০ দফাদাবি
আন্দোলনের পাশাপাশি শ্রমিকরা ১০ দফা দাবি দিয়েছেন। দাবিগুলো হলো-
১. তিন গ্রেডের অপারেটরের বেতন ১২ হাজার টাকা করতে হবে;
২. বেসিক ঠিক করতে হবে;
৩. ওভারটাইমের হার ঠিক করতে হবে;
৪. হাজিরা বোনাস ৬০০ টাকা করতে হবে;
৫. টিফিন বিল কমপক্ষে ৪০ টাকা করতে হবে;
৬. আয়রনম্যান পদে কর্মরতদের গ্রেড ৩ করতে হবে;
৭. ছুটির সব টাকা একসঙ্গে দিতে হবে;
৮. দাবি আদায়ের আন্দোলনে অংশ নেয়া কাউকে বরখাস্ত করা যাবে না;
৯. ৬ মাস ডিউটির পর মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে হবে এবং
১০. পূর্ববর্তী সময়ে দেয়া কথা অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী অন্যান্য গার্মেন্টসের মতো সরকারি হিসেবে বেতন-ভাতা নির্ধারণ ও তা চালু করতে হবে।
অন্যদিকে কালশীতে মালিক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের দাবি পূরণের আশ্বাসে সরে গেছেন স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের শ্রমিকরা। সেখানকার সড়কে এখন যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০১৯)