রঘুনাথ খাঁ সাতক্ষীরা : স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে স্বামী আব্দুস সবুর মোল্লা (৫২) নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিয়েছে আদালত। 

বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় ঘোষনা করেন।

ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী আব্দুস সবুর মোল্লা কলারোয়া উপজেলার মুরারিকাটি গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লার ছেলে।

নিহত রোমেছা খাতুন কলারোয়া উপজেলার কুমারনাল গ্রামের মৃত মেহের আলি সরদারের মেয়ে।
মামলার বাদী নিহত রোমেছার ভাই জালাল উদ্দিন জানান, ২০১১ সালে সবুর মোল্লার সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তারা জানতে পারেন তার ভগ্নিপতির আরো এক স্ত্রী আছে। এ নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মাঝে মাঝে গন্ডগোল হতো। তার ভগ্নিপতি কুমারনাল গ্রামে প্রথম স্ত্রীকে রেখে তার বোনকে নিয়ে মুরারিকাটি বাসায় থাকতো। তার বোন এলজিইডি প্রকল্পের কাজ করতো। বেতন পাওয়ার পর তার ভগ্নিপতি বেতনের টাকা নেওয়ার জন্য তার বোনকে মারধর করতো। ২০১২ সালের ২৪ আগষ্ট বেতনের টাকা না দেওয়ায় তার বোনকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরদিন সে আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। ওই দিন তিনি বাদি হয়ে সবুর মোল্ল্রা নাম উল্লেখ কওে কলারোয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক ফকির আজিজুর রহমান আসামি আব্দুস সবুর মোল্লার বিরুদ্ধে ২০১৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

নয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী আব্দুস সবুরের বিরুদ্ধে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ- র্ক্যাকর করার নির্দেশ দেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. আক্তারুজ্জামান।

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি এ্যাড. তপন কুমার দাস জানান, আসামী জামিনে মুক্তি পাওয়োর পর পলাতক থাকায় বিচার কার্যক্রম শেষ হতে প্রায় সাড়ে ছয় বছর লেগে গেছে।

(আরকে/এসপি/জানুয়ারি ১০, ২০১৯)