শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : কর্মস্ংস্থানের পথ খুঁজে পাবার লক্ষে  দিনাজপুরে অনেক বেকার যুবক পল্ট্রি খামার করে এখন বিপাকে পড়েছেন। বাচ্চা আর  খাবারের দাম দফায় দফায় বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পোল্ট্রি খামার। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন কমপক্ষে আড়াই হাজার খামারী। 

অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবক কর্মস্ংস্থানের পথ খুঁজে পেতে দিয়েছেন পোল্ট্রি খামার। আর এই খামার তার জীবনে এখন হয়ে দাঁড়িয়েছে মরার উপর খাড়ার ঘা। লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে তিনি এখন তারা দিশেহারা। বিরল উপজেলার রানীপুকুর এলাকার পোল্ট্রি খামারি ফারুক জানান, খামার করতে গিয়ে তার ৭ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। ৩ লাখ টাকা ব্যাংক ঋণ নিয়ে তাকে এখন মহাবিপদে পড়তে হয়েছে। জমি বিক্রি করে পরিশোধ করতে হচ্ছে টাকা।

এমন নাজুক অবস্থা এখন অসংখ্য পোল্ট্রি খামারীর।দিনাজপুর জেলায় পোল্ট্রি খামারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার। এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ পোল্ট্রি খামার। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন অসংখ্য খামারিসহ সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজার শ্রমিক। তাদেও হতাশায় দিন কাটছে । এক দিনের মুরগীর বাঁচ্চা আর খাবাররের দাম বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এ পরিস্থিতি।

অসংখ্য খামারি পুঁজি হারিয়ে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছে। ব্যাংক বা স্থানীয় এনজিও প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। হতাশায় কাটাচ্ছে তাদের দিন।

পোল্ট্রি খাবার এবং বাচ্চার মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে উৎপাদিত মুরগি এবং ডিমের ভালো দাম না পাওয়ায় পোল্ট্রি শিল্পে ধবস নামার কথা স্বীকার করেছেন,জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শাহিনুর আলম । তবে এবিষয়ে খামারিদের তারা পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

পোল্ট্রি খাবার এবং বাচ্চার মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে উৎপাদিত মুরগি এবং ডিমের ভালো দাম না পাওয়ায় এ অঞ্চলে অসংখ্য পোল্ট্রি খামারি দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে অসংখ্য পোল্ট্রি খামার। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে এ অঞ্চলে পোল্ট্রি খামারগুলো ধবংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়াবে এমনটাই আশংখা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

(এসএএস/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০১৯)