গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বৈরিহরিণমারী গ্রামের মোনতাজ মিয়া একজন বর্গা চাষী। অন্যর জমিতে ফসল ফলেই চলে তার পরিবারের জীবিকা। পরিশ্রম যে সফলতার চাবিকাটি তা প্রমান করেছেন মোহাম্মদ মোনতাজ মিয়া।

বরই চাষ করেছেন তিনি মোট ৫২ শতাংশ উচু জমিতে। নাম বাউকুল এবং ফলনে বেশি এবং রোপন থেকে ফলন পর্যান্ত মোট ৮/৯ মাসে এ ফল বিক্রির উপযুক্ত হয় । বর্গা চাষী হিসাবে যতো টাকা ফসল বিক্রি হয় তার অর্ধেক পেয়ে থাকেন এ কৃষক তবুও মাটির সাথে জরিয়ে আছেন জীবিকা হিসেবে।

ব্যক্তিগত জমি মাত্র ১৪ শতাংশ যার উপর তার বসতবাড়ী। বর্গা চাষ করছেন মোট ৮ বিঘা (৩৩ শতাংশে ১ বিঘা) প্রচন্ড পরিশ্রমী তিনি অন্যর জমিতে সোনা ফলেই চলছে তার জীবন। বর্গা চাষী নিয়ে নাই কোন সরকারের উল্লেখ্যযোগ্য পরিকল্পনা। যেখানে বর্গা চাষ থেকে কৃষকেরা সড়ে পড়ছেন সেখানে পরিশ্রমে টিকে রয়েছেন এ কৃষক।

অনেকের জমি থাকলেও তারা তা সঠিক ব্যবহার করতে পারছেনা সেখানে ফসলের অর্ধেক জমির মালিক'কে দেওয়া কঠিন বিষয় এমন প্রশ্নে মোনতাজ মিয়া বলেন, জমিতে পর্যাপ্ত পরিশ্রম করি এবং এই শ্রমের দামটাই আমাকে নিতে হয়। এ চাষী বাওকুল, ভূট্রা,টমেটো, কলা, কচু ও পরিবারের প্রয়োজনমত ধান চাষ করে থাকেন। দিনের সব সময়টুকু মাঠে তার অবস্থান। বাগানে পৌঁছিলে দেখা যায় বড়ই গাছের ডাল ভেঙ্গে ছাগলকে খাওয়াচ্ছেন। মোট ৭ টি ছাগল ৩ টি গরু নিয়ে ব্যস্ত এ কৃষক। ডাল ভেঙ্গে দিলে ফলন বেশি হয় এবং বড়ই পাতা ভেঙ্গে দিলে বরই'এর রং ভাল হয় বলে জানান তিনি।

বর্তমান বাজারে বরই বিক্রি হয় মোন প্রতি ১১ শ টাকা। আজ তুলেছেন মোট ৩ মোন ফলে যা বিক্রি তার অর্ধেক টাকা পাবেন তিনি। প্রায় ১ দিন পর পর বরই তুলছেন। যা ব্যায় হয় জমির মালিক তার অর্ধেক দিয়ে থাকেন। এই প্রথম বরই চাষ করছেন তিনি দিকনির্দেশনা নেন অন্য কৃষক ও ঔষধ কম্পানির প্রতিনিধির কাছ থেকে। নাই মাঠে কৃষি বিভাগের কোনো কর্মকর্তাগন। কাজ ফেলে রেখে অফিসে কখন যাই। গত মাস হতে বরই তুলে বিক্রি শুরু করেছি কেউ জানেও না আসেওনি !

বিনা জামানতে বর্গা চাষীদের অর্থ সহায়তা প্রদানের সরকারি কার্যক্রম কতোটা বেগবান তা কর্তৃপক্ষই জানেন, লোকমুখে যে কথা প্রচলিত --মাথার ঘাম যে মাটিতে পড়ে তার উদাহারণ এই বর্গা চাষী।

(এসআইআর/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০১৯)