গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের ছোট শালমারা গ্রামের গৃহবধূ মোছা: বেদনা বেগম (২৫) এর শ্বশুর মোহাম্মদ সলেমান মিয়া (গরু দালাল) এর বিরুদ্ধে থানায় যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন।

বেদনার স্বামী মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ (৩০) স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন ও পূনরায় যৌতুক চেয়ে নির্যাতন ও অন্যপুরুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চাপ দেওয়া এবং পিতার মতামত অনুযায়ী চলতে হবে বলে নানাভাবে অত্যাচারে অতিষ্ট গৃহবধু বেদনা বেগমের আভিযোগে তা জানা যায়। এক সন্তানের জননী এ গৃহবধূ সংসার জীবনে মোট ২ বছরের অধিকাংশ সময় নানা প্রকার অত্যাচারের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন সাংবাদিকের কাছে।

স্বামী হারুন অর রশিদ (৩০) বেশীরভাগ সময় বাড়ীতে অবস্থান না করায় শশুর সলায়মান মিয়া'র কু-প্রস্তাব ও কয়েকদিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টায় ধস্তাধস্তির করেছে বলে জানান। এবং এ অভিযোগ এনে পলাশবাড়ী থানায় ইতিপূর্বে অভিযোগ দায়ের করেছেন বেদনার (গৃহবধূ)'র বাবা মাহফুজার রহমান (৫০) । গত ৭ জানুয়ারী পুনরায় বিচার চেয়ে গৃহবধূ পলাশবাড়ী থানায় আসলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল ওয়াহেদ এর নিকট গৃহবধূকে তুলে দেওয়া হয় এবং বিষয়টি স্থানীয়ভাবে খতিয়ে দেখতে বলা হয়।

৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল ৩ টায় স্থানীয়ভাবে এ বিষটি নিয়ে আলোচনায় বসার কথা থাকলেও তা সংগঠিত হয়নি । এ বিষয়ে মেম্বার ওয়াহেদ মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আলোচনা না হওয়ায় উপায়ন্তর না পেয়ে পলাশবাড়ী থানায় গৃহবধূকে আমি হস্তান্তর করেছি । এ বিষয়ে সলায়মান দালালের সাথে কথা বলতে চাইলে তার পরিবার সাংবাদিককে এরিয়ে চলেন এবং তার সাথে ও গৃহবধুর স্বামী'র সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

বেদনা বেগম রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার দাদন এলাকায় বাইসাইকেল মেকার মোহম্মদ মাহফুজার রহমান (ভুট্টা মিয়া)'র কন্যা বলে জানা যায়। হত দরিদ্র এ পিতা বাস দুর্ঘটনায় মেরুদণ্ডে আঘাৎপ্রাপ্ত হওয়ায় অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল বলে বিচারে তারা বিচার পাচ্ছেনা বলে বলে জানান ভুক্তগোগী(বেদনা বেগম) এর মা।

পলাশবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ হিফজুর মুন্সী জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ এসেছে এবং তা গ্রহণ করা হয়েছে। ছবি ০৪

(এসআইআর/এসপি/জানুয়ারি ১১, ২০১৯)