স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে ছাত্রলীগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি অনুষদের শীর্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘দেশরত্ন মেধাবৃত্তি’ নামে এই বৃত্তি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি অনুষদের শীর্ষ মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য ‘দেশরত্ন মেধাবৃত্তি’ চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে ‘আইডিয়া এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম’ এর প্রাক-পরিকল্পনাও নয়া হয়েছে।

প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতা থেকে নবীন শিক্ষার্থীদের মেধায় উৎসাহ, আবাসন সঙ্কট নিরসন, বৃত্তির মাধ্যমে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তা এবং ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে নবীদের মনোমুগ্ধকর বরণের মাধ্যমে স্বাগতম জানানোর বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বপ্নের সমান বড় হওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে ৭,১২৮ জন শিক্ষার্থী। মুক্তির চেতনার আঁতুরঘর, মৌলবাদ প্রতিরোধের অপরাজেয় দুর্গ, একাডেমিক উৎকর্ষতার অনন্য প্রতিষ্ঠান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সকল নবীন শিক্ষার্থীকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। নবীনদের স্বাচ্ছন্দ্যময় ক্যাম্পাস জীবন, অনিন্দ্যসুন্দর সাংস্কৃতিক পরিসর, একাডেমিক উৎকর্ষতা ও স্বপ্ন তাড়া করার উপযোগী বিদ্যাপীঠ বিনির্মাণে আমরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দায়বদ্ধ। নবীন শিক্ষার্থীদের মেধায় উৎসাহ, আবাসন সঙ্কটে পাশে থাকা, ছাত্রবৃত্তির মাধ্যমে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য আমাদের কর্মসূচি চলমান রয়েছে, মনোমুগ্ধকর নবীনবরণের মাধ্যমে স্বাগতম জানানোর বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি বেশ কিছু আহ্বান জানানো হয়।

ক্লাস-পরীক্ষা, সেমিনার-সিম্পোজিয়ামের মাধ্যমে আধুনিক গবেষণা-বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযোগী শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেকে গড়ে তোল; সকল প্রগতিশীল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ততার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যিক অঙ্গীকারের সাথে একীভূত হওয়া, খেলাধুলা, বিতর্ক, সাহিত্য-সংস্কৃতির অনুশীলনের মাধ্যমে মাদক-সন্ত্রাস, মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এ ছাড়া, আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস জীবন নিশ্চিত করা; নবীন বন্ধুত্বের দৃঢ়তার মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন ক্যাম্পাস ও ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষার আলোয় উদ্ভাসিত করার জন্য ‘আলোর পাঠশালা’ ধর্মী সমাজকল্যাণমূলক কাজে অগ্রণী হওয়া; গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, উদার, বহুত্ববাদী-মানবিক সমাজ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি, সহনশীলতা, প্রগতিশীল আশা-আকাঙ্ক্ষার ও শুভকাজের প্রতিযোগিতার ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমে নিজেকে শাণিত করা ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘কারাগারের রোজনামচা’ পাঠ ও তার জীবন দর্শন থেকে শিক্ষা এবং বাংলাদেশের সাহসী অভিযাত্রার অবিকল্প সারথি, বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্বপ্ন-সাহস-সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বজয়ের নেশায় ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৯)