ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাইয়ে পরকীয়ার জেরে স্বামী গার্মেন্টস্ কর্মী সুমন মিয়ার লিঙ্গ কর্তন করেছেন স্ত্রী মর্র্জিনা বেগম। মুমূর্ষ অবস্থায় স্বামী সুমন মিয়া কে সাভারের এনাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । গার্মেন্টস্ কর্মী স্ত্রী রাতের অন্ধকারে পালাতে গিয়ে জনতার হাতে আটকের পর ধামরাই থানা পুলিশের রাতে সোর্পদ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার ভোর রাতে ধামরাইয়ের বালীথা গ্রামে ।

জানা গেছে, ধামরাই উপজেলার বালীথা গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী সুমন মিয়া দশ বছর আগে গার্মেন্টস কর্মী মর্জিনা বেগম কে বিবাহ করেন। তাদের ঘরে হাসান নামের সাত বছরের এক ছেলে সন্তান ও রয়েছে।
সুমন মিয়া দীর্ঘ দিন ধরে অন্য একটি মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্ক করে আসছিল বলে অভিযোগ।ওই মেয়েটিকে বিবাহ করার সিদান্ত নেয় সুমন মিয়া।

এ বিষয় জানতে পেরে স্ত্রী মর্জিনা বার বার স্বামী সুমনকে বারণ করা সত্বেও সুমন মিয়া দ্বিতীয় বিবাহ করার সিদান্ত পরিবর্তন না করায় শনিবার রাতে খাবারের সাথে স্বামীকে ঘুমের ট্যাবলেট খাওয়ায়। গভীর ঘুমে অচেতন হলে ঘুমন্ত অবস্থায় সুমনের লিঙ্গ পুরোটাই কর্তন করে ফেলেছে স্ত্রী মর্জিনা বেগম।

এলাকাবাসী জেনে মুমূর্ষ অবস্থায় সুমন মিয়াকে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এঘটনার পর স্ত্রী মর্জিনা বেগমভোর রাতেই পালাতে চেষ্টাকালে জনতার হাতে আটক হয়। পরে জনতা ধামরাি থানার পুলিশের হাতে স্ত্রী মর্জিনা বেগম কে সোর্পদ করেছে।

এ ব্যাপারে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীপক চন্দ্র সাহা বলেন,স্ত্রী মর্জিনা বেগম কে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে,স্বামী সুমন মিয়া সুস্থ হলে এর পুরো রহস্য জানা যাবে।অভিযোগ পেলেই মামলা হবে।

(ডিসিপি/এসপি/জানুয়ারি ১২, ২০১৯)