সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে প্রতিটি পথসভায় ও জনসভায় ঘোষণা দিয়ে বলেছেন অন্য এমপিদের চেয়ে আমি একটি ব্যতিক্রম হব। এমপি নির্বাচিত হয়ে রবিবার উপজেলা পরিষদ মিলানয়তনে জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে এসে প্রমাণ করলেন সত্যিকার অর্থেই অতিথের অন্য এম.পিদের চেয়ে তিনি একটু আলাদা। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, নবম জাতীয় সংসদের এম.পি মঞ্জুর কাদের কোরাইশী ও দশম জাতীয় সংসদের এমপি ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু যেদিন উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সভা করতে এসেছেন, তখনি দেখা গেছে এম.পির গাড়ির পেছনে দেড় দুই শতাধিক মোটর সাইকেলের বহর হর্ণ বাজাতে বাজাতে পরিষদে ঢুকেছেন। প্রটোকল নিয়েছেন পুলিশের। কিন্তু রবিবারই অসীম কুমার উকিল ব্যতিক্রম ঘটিয়েছেন। বেলা ৩ টায় মিটিংয়ের সময় নির্ধারন করা ছিল। তিনি গাড়িতে চড়ে একা একা বেলা ২ টা ৫০ মিনিটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হন। তাছাড়া তার গাড়ির সামনে পুলিশের কোন প্রটেকশন গাড়ি ছিল না। পিছনে ছিলনা মোটর সাইকেলের বহর। সঠিক সময়ে সভা শুরু করেন। তবে বেলা সাড়ে তিনটায় সভায় উপস্থিত হন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিনাত সাবাহ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-ইমরান রুহুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অসীম কুমার উকিল সকল বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যার যার বিভাগের যে সব সমস্যা আছে সে সব সমস্যার বিষয়ে আমাকে লিখিত ভাবে জানান আমি সরকারের সকল প্রকার কর্মসূচি বাস্তবায়নে আপনাদের সর্বাত্বক সহযোগিতা করব। আমাকে সব সময় ফোনে পাবেন।

পুলিশের প্রটোকল না নেয়ার বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের দায়িত্বে আমরাই ঢাকা থেকে এমপি সাহেব যখন এলাকায় আসেন তখন আমরা তাকে সার্বিক নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে সহযোগিতা দিয়ে থাকি। শনিবার সেই নিয়ম অনুযায়ী আমি এমপি অসীম কুমার উকিল মহোদয়কে ফোন করেছিলাম তিনি বলেছেন আমার সরকারি অন্য কাজ ফেলে রেখে আমার পেছনে ঘুরাঘুরি করার কোন প্রয়োজন নেই। এলাকায় আমার পুলিশের প্রয়োজন হলে তখন জানাব।

তিনি বলেন, এ বিষয়টি এমপি অসীম কুমার উকিলের একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। তাছাড়া তিনি মাদক, জুয়া, দূর্ণীতি প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।

(এসবি/এসপি/জানুয়ারি ১৩, ২০১৯)