স্টাফ রিপোর্টার : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রি অধিকারীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার সাবেক প্রধান জিনাত আক্তারের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরীর আদালতে তারা আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এ নিয়ে মামলার এজহারভুক্ত তিনজনের জামিন মঞ্জুর হলো।

পল্টন থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার তদন্ত প্রতিবেন দাখিলের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য রয়েছে।

ভিকারুননিসার নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ৫ ডিসেম্বর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখাপ্রধান জিনাত আখতার ও অরিত্রীর শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে বরখাস্ত করা হয়।

গত ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রি। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন অরিত্রির বাবা দিলীপ অধিকারী।

মামলার এজাহারে অরিত্রির আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রির স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। গত ২ ডিসেম্বর সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ অরিত্রির বাবা-মাকে ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাদের জানায়, অরিত্রি মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অরিত্রির বাবার অভিযোগ, ‘স্কুল কর্তৃপক্ষ আমার মেয়ের সামনে আমাকে অনেক অপমান করে। ওই অপমান এবং পরীক্ষা আর দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় অরিত্রি।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০১৯)