আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : আগৈলঝাড়ায় জামাত নেতার নেতৃত্বে স্থানীয় প্রভাবশালীরা পানি চলাচলের স্লুইচগেট বন্ধ করে মাছ চাষ করায় অন্তত ৩শ বিঘা জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে না ওই এলাকার দুই শতাধিক কৃষক পরিবার।

প্রতিকার চেয়ে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে দেড় শতাধিক চাষির লিখিত অভিযোগ দায়ের।

উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আমবৌলা গ্রামের দেড় শতাধিক ভুক্তভোগী চাষিদের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পয়সাহাট-বাগধা কলেজ সড়কের কলেজের উত্তর পার্শ্বের স্লুইচ গেট বাঁধ দিয়ে বন্ধ করে গত কয়েক বছর যাবত সেখানে ঘের বানিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন রজ্জব আলী বয়াতির ছেলে স্থানীয় বাগধা কলেজের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের তালিকাভুক্ত উপজেলা জামাত নেতা রেজাউল ফেরদৌস রুশো বয়াতির নেতৃত্বে স্থানীয় সেলিম তাজ, ফরমান খানসহ প্রভাবশালীরা।

চাষিদের শত বাধার মুখেও ওই প্রভাবশালীরা তাদের মাছের ব্যবসা চালানোর কারণে চাষিরা জমিতে পানি সেচ ও নিস্কাশন করতে না পেরে সময়মত ধানের চারা রোপন করতে পারছে না। ফলে অসময়ে চাষাবাদ করায় আশাতীত ফলন না পেয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন চাষিরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস ওই এলাকার চাষিদের অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি ও স্থানীয় সমাজ সেবক আবুল বাশার হাওলাদারকে দ্বায়িত্ব দিয়ে লোকজন দিয়ে দ্রুত চাষিদের সমস্যার অন্তরায় বাঁধ কেটে অপসারণ করতে বলা হয়েছে।

সমাজ সেবক আবুল বাশার হাওলাদার জানান, উপজেরা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ অনুয়ায়ি সোমবার বিকেলেই ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধ অপসারনের ব্যবস্থা করবেন।

অভিযুক্ত রেজাউল ফেরদৌস রুশো নিজেকে জামাতের সাথে সম্পৃক্ততা অস্বীকার করে বলেন, তিনি বা তার পরিবার সরসরি দল না করলেও আওয়ামীলীগ সমর্থক।

স্থানীয় জমির মালিকদের সাথে নিয়ে ৫বছর যাবত তারা মাছ চাষ করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৩/৪দিন আগে মাছ ধরার জন্য খালের মুখে বাঁধ দেয়া হয়েছে। মাছ ধরা হলেই বাঁধ অপসারণ করা হবে।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ১৪, ২০১৯)