ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার কৃষকের পান চাষে এগিয়ে যাচ্ছে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ এলাকায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে পান চাষ।

একটি পান গাছ একটানা ১৫ থেকে ২০ বসর ফলন দিয়ে থাকে। প্রথম পর্যায়ে বিঘা প্রতি ( ৩৩ শতাংশ এক বিখা) ১ লক্ষ টাকা লাগে এর পর সল্প খরচে প্রতি বছর পান বিক্রি হয় ২ হতে আড়াই লাখ টাকা।
পান চাষীরা বলছে মন দিয়ে পান চাষ করলে অন্য ফলনের তুলনায় এর লাভের পরিমান বেশী। পান চাষ এখন সোনার সাথে তুলনা করছে তার। পানের চাহিদা আমাদের দেশে যথেষ্ট পরিমানে আছে এর পরও বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। সেজন্যই এ ফলনে কৃষক লাভবান হচ্ছেন। অধিক তাপে ও শীতকালে অধিক কুয়াশায় এ পানের উৎপাদন কমে যায় তবে এ সমস্যাদি অতি সামান্য। রোগবালাই যা আছে তা বর্তমানে এর প্রতিকারে যথেষ্ট অবদান রাখছে সরকারী ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।

যদিও পান বরজে যথেষ্ট সময় দিতে হয় কৃষকের, সারিবদ্ধভাবে এ পান গাছগুলো দ্বাড়িয়ে থাকে এ বরজের ভিতর সেখানে নিয়মিত কৃষকের অবস্থান লক্ষ করা যায়। অভিজ্ঞ শ্রমিক সুনিপুণভাবে কাজ করে থাকে এ পান বরজে। অধিক পরিমানে বাশ দরকার হয় এ বরজ তৈরি করতে এর ফলে বাশ প্রক্রিয়াদি করতে বিভিন্ন এলাকায় শ্রমিক গঠিত হয়েছে, অত্র এলাকায় ও দেশের বিভিন্ন স্থানে এ বাশবাতিগুলো সড়কপথে চলে যাচছে। ইহাতে কর্মসংস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হয়ে উঠেছে এ পান চাষটিকে ঘিরে।

পলাশবাড়ী উপজেলার ঘোড়াঘাট রোডস্থ শিমুলতলা নামক স্থানে ও গোবিন্দগঞ্জ এর কোমরপুর চৌমাথায় পান হাটি অবস্থিত। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীগন পান সংগ্রহ করে থাকে। বাড়ী বাড়ী পানের খিলি হাতে তুলে দিয়ে অতিথির মন জয়ের জন্য নিয়মিত খরচের তালিকায় স্থান হয়ে আছে এ পান।

অনেকেই পান বরজের চারিপাশে সুপারির চাষ শুরু করে দিয়েছেন। অনেকটা স্থায়ী ফসল হিসাবে কৃষকেরা তাদের উচু জমিতে পান সুপারি চাষ শুরু করছেন।

(এসআইআর/এসপি/জানুয়ারি ১৫, ২০১৯)