বাগেরহাট প্রতিনিধি : শারীরিক-মানসিক  নির্যাতন ও যৌতুক লোভী স্বামীর বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিয়ে বিপাকে স্বাস্থ্যকর্মী  সুলতানা জাহান মুন্নী। স্বামী শফিকুল ইসলাম জেল হাজতে গেলে তার সহকর্মীরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালের ষ্টাফ নার্স সুলতানা জাহান মুন্নীকে নানা প্রকার ভয়ভীতি উল্টো হয়রানীর চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ অবস্থায় কোষ্টগার্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন মুন্নি।

দায়েরকৃত মামলায় সুলতানা জাহান মুন্নি অভিযোগ করেন, ২০১২ সালের ২৭ আগষ্ট তার সাথে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মো. কলিম উদ্দিন সরকারের ছেলে নৌবাহনী থেকে ডেপুটেশনে আসা কোষ্টগার্ডে কর্মরত মো. শফিকুল ইসলাম শফিকের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পার হতে না হতেই স্ত্রীর মুন্নির কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।

প্রথমে অস্বীকৃতি জানালে চাকুরীতে দেনা আছে এবং টাকা না দিলে তালাক দেবার হুমকি দেয়। মুন্নি তার বাবার বাড়ি বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার মালিয়া রাজাপুর গ্রামের ভাইয়ের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা এনে স্বামীর আবদার মেটায় মুন্নি। এরপরও থেমে থাকেনি যৌতুক লোভী স্বামী শফিক। আবারও এক লাখ টাকা দাবি করায় সে দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে মুন্নিকে শারীরিক নির্যাতন চালায়।

পরে সে হাসপাতলে ভর্তি হলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে । কোথাও নালিশ জানালে ভয়াবহ পরিণতি হবে বলে হুমকি দেয় । সংসারের সুখের কথা চিন্তা করে মংলাস্থ কোষ্টগার্ডের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় মিমাংসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে সেখানেও কোন প্রতিকার না পেয়ে সুলতানা জাহান মুন্নী বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ন্যায় বিচারের আশায় একটি মামলা দায়ের করে।

গত ১৫ জুলাই কোস্টগার্ডের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শফিক আদালতে জামিনের আবেদন করলে জামিন না দিয়ে আদালত তাকে জেলহাজতে পাঠায়। এরপর ওই কর্মকর্তার সহকর্মীরা নানা প্রকার হুমকি-ধামকি দেয় বলে জানায় স্বাস্থ্যকর্মী মুন্নি। মুন্নি বলেন, ‘আমি ন্যায় বিচার চাই, আমাকে যে ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করা হয়েছে তা কোন দিন ভাবতেও পারিনি। এখন আমার স্বামীর অন্যায় অত্যাচার আড়াল করতে তার পক্ষ নিয়ে মংলা কোস্টগার্ডের কয়েকজন কর্মকর্তা নানা প্রকার ভয়ভীতি দিচ্ছেন। একজন কোষ্টগার্ডের সদস্যের অমানবিক আচরণের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে ডিপার্টমেন্টাল বিচারের দাবি করেন মুন্নি।

(একে/জেএ/জুলাই ২১, ২০১৪)