আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : প্রবাদ আছে“ মাঘের শীত বাঘের গায়।” দেশে কয়েক দিনে ২০ থেকে ২৫ ডিগ্রী তাপমাত্রায় অবস্থান করায় আগৈলঝাড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহ আর ঘন কুয়াশার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জন জীবন। 

কনকনে শীত ও ঘন কুয়াশার কারনে দিন মজুর, নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যদের শীত নিবারনের জন্য প্রয়োজনীয় গরম কাপড়ের অভাবে এখন পুরানো পোশাকের দোকানে ভীড় করছেন।

অন্যান্য বছর শীতের শুরুতেই সরকারীভাবে কম্বল বিতরণ করা হলেও এবছর জাতীয় নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার কারণে আইনী বাধ্য বাধকতায় স্থানীয় এমপি বা আওয়ামীলীগ বা অন্য কোন রাজনৈতিক সংগঠন শীতের শুরুতে গরীবদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করতে পারেনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাস জানান, সরকারীভাবে এপর্যন্ত উপজেলায় ২২শ ৬৫পি কম্বল বরাদ্দ পেয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তা বন্টন করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় ওই কম্বল পর্যাপ্ত নয়। শীতের তীব্রতায় দরিদ্র মানুষেরা কাজের জন্য ঘর থেকে বাইরে যেতে পারছে না। যাদের প্রয়োজনীয় গরম কাপড় নেই তারা শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে একটু উত্তাপের জন্য খড়কুটা জ্বালিয়েও শীত নিবারণ করছে। ঘন কুয়াশার তীব্রতার কারনে অনেক চাষের জমির রোপিত বীজ ধানের চারা মারা যাচ্ছে। শীতের কারণে সন্ধ্যার পরপরই রাস্তা-ঘাট ও হাট-বাজারে লোকজনের উপস্থিতি কমে যাচ্ছে। শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের ঠান্ডাজনিত রোগ বালাই জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাষকষ্ট ও ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। হাসপাতালে প্রতিদিনই শীত জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা হাসপতাল প্রধান ডা. একেএম মনিরুল ইসলাম।

(টিবি/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৯)