সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখানে পঞ্চমবারের মতো  বর্নাঢ্য আয়োজনে এজেন্ট ব্যাংকিং দিবস পালন করল বেসরকারি খাতের ব্যাংক এশিয়া। ব্যাংকটি তার এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরুর দিনকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষভাবে দিবসটি উদযাপন করেছে। 

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভবানীপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইসলাম শেখকে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি এজেন্টশিপ দেওয়ার মাধ্যমে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পথচলা শুরু হয়।

এই এজেন্ট পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, বেশ গুছিয়ে ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকের মতো ক্যাশ কাউন্টার, কম্পিউটার, আঙুলের ছাপ নেওয়ার মেশিন, প্রিন্টার দিয়ে ব্যাংক শাখার মতো করে ব্যাংকিং হচ্ছে। এজেন্ট ইসলাম শেখ জানান, বর্তমানে তাদের ৩ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। এজেন্ট পয়েন্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রায় নয় কোটি টাকার আমানত এসেছে। এখান থেকে দৈনিক গড়ে ১০০ থেকে ১৩০টি লেনদেন হয়। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ১লাখ ২০ হাজার টাকার মতো আয় হয়।

এ ছাড়া আগে ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ইছাপুর বাজারে গিয়ে ব্যাংকিং লেনদেন করতে হতো। এতে নানা ঝুঁকির পাশাপাশি টাকাও খরচ হতো। তবে এখন হেঁটে এখান থেকে টাকা তুলতে পেরে এখানকার গ্রাহকরা খুশি।

এই এজেন্ট পয়েন্টে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সিরাজদিখান উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ মহিউদ্দিন আহম্মেদ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাংক এশিয়ার উপ- ব্যবস্থ্যাপনা পরিচালক মোঃ জহিরুল আলম,ব্যাংক এশিয়ার চ্যানেল ব্যাংকিংয়ের প্রধান সরদার আক্তার হামিদ, এজেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান মো. আহসান উল আলম জৈনসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম দুদু, সিরাজদিখান ব্যাংক এশিয়ার শাখা ব্যবস্থাপক বিপুল সরকার, মালখানগর ব্যাংক এশিয়ার শাখা ব্যবস্থাপক শংকর কুমার রায়, ভবানীপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ইসলাম শেখ প্রমুখ।

গত ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলার ২৫০০টি উপজেলায় আউটলেটের মাধ্যমে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমেও এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশে ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ৮ লাখ ।

(এসআরডি/এসপি/জানুয়ারি ১৭, ২০১৯)