চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ভূমিমন্ত্রী, ক্লিন ইমেজের তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ আ’লীগের প্রয়াত প্রেসিডিয়াম সদস্য আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র সুযোগ্য সন্তান চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা তথা চট্টগ্রাম-১৩ আসন (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) প্রাণপুরুষ আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ’কে দুই উপজেলা আ’লীগের পক্ষ থেকে এক বিশাল গণ-সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি)দুপুর ৪টায় চট্টগ্রাম কর্ণফুলীর দৌলতপুর কেইপিজেড গেইট চত্ত্বরে এ গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

গণ-সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফারুক চৌধুরী।

দল-মত নির্বিশেষে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজার হাজার নারী পুরুষের সমাগম হয়।

কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি রনি ও আনোয়ারা উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ মালেক এর যৌথ সঞ্জালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি।

পবিত্র কোরআন তেলোয়াত শেষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো.আবু তাহের।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন পটিয়ায় সংসদ সদস্য ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সদস্য আলহাজ্ব শামশুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, আওয়ামী জাতীয় পরিষদের সদস্য এ্যাডভোকেট জসিম উদ্দীন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী যুব লীগের সভাপতি আ.ন.ম টিপু সুলতান, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুবায়ের হোসেন।

আরো উপস্থিত ছিলেন কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ, সাবেক মহিলা সংসদ চেমন আরা তৈয়ব, ডায়মন্ড সিমেন্ট এর পরিচালক শিল্পপতি আলহাজ্ব আজিম আলী, আনোয়ারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম চৌধুরী সহ অনেকে।

এছাড়াও ১৬ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সহ জেলা ও উপজেলা শাখার আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও প্রজন্মলীগের শত শত নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। গণ-সংবর্ধনায় দল-মত নির্বিশিষে সাধারণ মানুষের ঢল নামে তাদের প্রিয় নেতাকে সংবর্ধনার মাধ্যমে ভালোবাসা প্রদান করতে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী বলেন, ‘রাজনীতির প্রাণ পুরুষ প্রয়াত নেতা আলহাজ্ব আখরুজ্জামান চৌধুরী বাবু দক্ষিণ জেলার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার সুযোগ্য পুত্র বর্তমান ভূমিমন্ত্রী জাবেদ’কে সংবর্ধনা দেওয়ায় সবার মতো আমিও অত্যন্ত খুশি। যোগ্য নেতার সঠিক প্রাপ্য। ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী এলাকার উন্নয়নে দীর্ঘদিন যাবত নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে বিগত বছরের কর্ম দক্ষতা ও সততার পুরস্কার পেলেন পূর্ণমন্ত্রীর। আশা করি এবারও দায়িত্ব পালনে ভূমিমন্ত্রী তাঁর অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন।’

সংবর্ধনার জবাবে সংবর্ধিত ভূমিমন্ত্রী আলহাজ্ব সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ তার বক্তব্যের প্রথমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতা সহ প্রয়াত পিতাকে স্মরণ করে বলেন, ‘আমি কৃতজ্ঞ আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ এবং কৃতজ্ঞ। আমার মহান নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আনোয়ারা কর্ণফুলীবাসীর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।’

আমার এই আজকের সংবর্ধনা আমি আনোয়ারা কর্ণফুলীবাসীর কাছে উৎসর্গ করলাম। আমি সারা বাংলাদেশের ভূমিমন্ত্রী, আমি চট্টগ্রাম তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের মন্ত্রী। বিশেষ ভাবে আমি আনোয়ারা কর্ণফুলীবাসীর মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমার প্রাণপ্রিয় নেত্রী মহান শেখ হাসিনা বিগত ৫ বছরের আমার প্রতিমন্ত্রীর সময়কাল বিচার বিশ্লেষণ করে পুনরায় পুর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। গত ৫ বছর আমি অনেক কষ্ট করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। বিগত ৫ বছরের চেয়ে আগামী ৫ বছর আমার জন্য কঠিন হবে মনেকরি। কেনোনা পুর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব অনেক। আজকের পুর্ণমন্ত্রী তিনি সততার কর্মফল বলে মন্তব্য করেন।

এক পযার্য়ে ভূমিমন্ত্রী বলেন,‘গণতন্ত্রের কোন বিকল্প নেই। আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ১০ জন প্রভাবশালী নেত্রীদের একজন। মহান নেত্রীর কারণে আজ বাংলাদেশ এগিয়েছে। উন্নয়নের অপর নাম শেখ হাসিনা। একমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ভর করে জননেত্রী শেখ হাসিনার উপর। নেত্রীর সুশাসনে আজ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে যা এগিয়েছে আগামী ৫ বছরে আরো এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ্।’

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ এর মতো জননেত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক দিয়েছেন। আজকের বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্বনির্ভর বাংলাদেশ। আমাদের শ্লোগান দূর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।

আমি এমন কোন কাজ করবনা যাতে আনোয়ারা কর্ণফুলীবাসীর মাথা নিচু হয়ে যায়। আমার দল আমার নেত্রী ও আমার ভাবমূর্তি যেনো নষ্ট হয় এমন কোন কাজ আপনারা করবেন না। ন্যায়ের বিষয়ে আমার দরজা সব সময় সবার জন্য খোলা।’

পরিশেষে মন্ত্রী বলেন, ‘একমাত্র শেখ হাসিনাই বাংলাদেশকে কিছু দিতে পারে এবং পেরেছেন আগামীতে ও পারবেন।’

সর্বোপরী তিনি সকলের দোয়া ও আশির্বাদ কামনা করেন যাতে মহান আল্লাহপাক তার ভবিষ্যতের পথকে যেনো মসৃন করে দেন। দেশের উন্নয়নে যাতে একজন নিবেদিত প্রাণপুরুষ হয়ে কাজ করে যেতে পারেন। তিনি কৃতজ্ঞতা ভরে সংবর্ধনাস্থলে আগত হাজার হাজার শুভাকাংখীদের অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

(জেজে/এসপি/জানুয়ারি ১৮, ২০১৯)