গাইবান্ধা প্রতিনিধি : গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের ৮নং ওয়ার্ডে। বয়স আশি হতে পঁচাশি এর মধ্যে হবে। স্বামী মারা গেছে প্রায় আট-নয় বছর আগে। স্বামীর চার শতক জায়গার ওপর একাই বসবাস করছেন এই প্রবীন অসহায় নারী। তার পাঁচ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই। একমাত্র ছেলে রাজা মিয়া ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে খুব অল্প বেতনের একটি চাকুরী করে।

আবেদা বয়সের ভারে নুব্জ হয়ে পড়েছেন। চলতে পারে না। খুব কষ্ট করে দু’হাতে দু’টি লাঠি নিয়ে খুড়ে খুড়ে এ বাড়ী ও বাড়ী যাতায়াত করেন। দুইবার পা ভেঙ্গে বিছানায় পড়েছিল। ছেলে রাজা মিয়া ধার কর্জ করে মায়ের চিকিৎসা করেছেন।

বর্তমানে বৃদ্ধার প্রয়োজন নিয়মিত খাবার ও পুষ্টিসহ চিকিৎসা। চোখে মুখে হতাশা ও অভিমান নিয়ে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকেন। প্রশ্ন করা হলো-আপনি কি বয়স্ক ভাতা পান? কাঁদো কাঁদো ভাব নিয়ে অসহায়ভাবে মাথা নাড়িয়ে বলছেন না। কখনো পেয়েছেন? আাবারো না। বৃদ্ধার প্রতিবেশী সন্তোষ বলেন, এই বৃদ্ধাকে কখনো কেউ কোনো প্রকার ভাতা দেয়নি। তিনি খুব অসহায়।

(এসআইআর/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০১৯)