রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তিতে মেধা তালিকা, অপেক্ষমান তালিকা ব্যতীত ও ভর্তি পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের ভর্তিসহ বিধি বহির্ভূতভাবে ভর্তি এবং আর্থিক লেনদেন বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

ভর্তি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহম্মেদ ভর্তি বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নূরুন্নাহারকে এক কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বললে তদন্তপূর্বক তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

গত ২০ ডিসেম্বর ঘাটাইল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন করে মেধা তালিকা ও অপেক্ষমান তালিকা তৈরি করা হয়। মেধা তালিকা থেকে ভর্তি করার শেষ সময় ছিল ৬ জানুয়ারি। মেধা তালিকা মোতাবেক ভর্তির পর ২২ জন ছাত্র এবং ১৮ জন ছাত্রীর আসন শূন্য ছিল। সিদ্ধান্ত ছিল ভর্তি কমিটির সঙ্গে আলোচনাক্রমে ভর্তি সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার সভাপতি গত ৭ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটিতে থাকাকালীন তিনি ভর্তি সংক্রান্ত নানা অনিয়মের অভিযোগ পান। তার অনুপস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক নিজে একাই সব ভর্তি কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন বলেও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেন। মেধা তালিকায় রয়েছে কিন্তু নির্ধারিত সময়ে ভর্তি হতে পারেনি ও অপেক্ষমান তালিকায় ২য় ও ৩য় স্থানে রয়েছে তাদেরকে ভর্তি করা হয়নি।

অপেক্ষমান তালিকায় থাকা এক ছাত্রীকে ভর্তি না করে তার অভিভাবককে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার ফরম বিক্রির টাকা পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে অর্ধেক খরচ করার কথা থাকলেও তার হিসাবে গরমিল রয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, ভর্তির বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি।

এ ব্যাপারে ঘাটাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলরুবা আহম্মেদ বলেন, তদন্তে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার বিষয় প্রমাণিত হয়েছে। তবে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টির কোন প্রমাণ মেলেনি।

(আরকেপি/এসপি/জানুয়ারি ১৯, ২০১৯)