নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর মান্দায় আত্রাই নদীর ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শন করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান। 

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নিয়ে ভালাইন ইউনিয়নের আয়াপুর খেয়াঘাট থেকে বানডুবি ভোলাবাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার এলাকার ৫ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্ট পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় মান্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুশফিকুর রহমান, নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার, উপজেলা প্রকৌশলী শহিদুল হক, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম ফারুক হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম, ভালাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইব্রাহীম আলী বাবু, স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মিসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ পরিদর্শন করে বলেন, আগামি বর্ষা মওসুমের আগেই বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো মেরামত করা হবে। বাঁধে মাটি কেটে সংস্কারসহ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টে মেট্রোসিংসহ যাবতীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।

এসময় ইউপি চেয়ারম্যান ইব্রাহীম আলী বাবুসহ স্থানীয়রা বর্ষা মওসুমে আত্রাই নদীর ভয়াবহতার চিত্র তুলে ধরে জেলা প্রশাসকের নিকট বিভিন্ন দাবি দাওয়া উত্থাপন করেন। তারা বলেন, এ বাঁধের আয়াপুর খেয়াঘাট থেকে বানডুবি ভোলাবাজার পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার রাস্তায় ১২ বছর ধরে কোনো সংস্কার কাজ করা হয়নি। বাঁধের দুইধারের মাটি কেটে গিয়ে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

আগামী বর্ষা মওসুমের আগে বাঁধটি সংস্কার করা না হলে এর যেকোন স্থানে ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হতে পারে এ অঞ্চলের মানুষ। একই সঙ্গে শিবনদ ও আত্রাই নদীর সংযোগস্থলে একটি সুইসগেট নির্মাণের দাবি জানান স্থানীয়রা। সুইসগেটটি নির্মিত হলে একদিকে বর্ষা মওসুমে পানি নিষ্কাশন সহজ হবে অন্যদিকে আটকানো পানিতে খরা মওসুমে ফসল উৎপাদনের পথ সুগম হবে বলে উল্লেখ করেন তারা।

এরপর জেলা প্রশাসক মিজানুর রহমান পরে ভালাইন ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শন ও তিনজন ভিক্ষুকের মাঝে ছাগল বিতরণ করেন। এসময় তিনি ভালাইন ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, বৈদ্যপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও বৈদ্যপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি।

(বিএম/এসপি/জানুয়ারি ২২, ২০১৯)