নিউজ ডেস্ক : সুন্দরী রমণীর সবচেয়ে আকর্ষণীয় অঙ্গ ঠোঁট। আর ঠোঁটকে সুন্দর করতে অবশ্যই চাই হাল ফ্যাশনের লিপস্টিক। তবে এই লিপস্টিকও ব্যবহার করতে হবে মাথা খাটিয়ে। ঠোঁটে রঙ তো দেবেন, কিন্তু সেই রঙ যদি ঠিক না হয় তবে আপনার গোটা সাজটাই মাটি। তাই নির্দিষ্ট সময়ে বেছে নিতে হবে সঠিক লিপশেড।

কিন্তু কিভাবে বাছবেন সেটাই ভেবে পাচ্ছেন না তো? তাই আপনাদের জন্য রইল এমন কিছু টিপস, যা আপনাকে করে তুলবে অনন্যা।

১)অনেক শপিং মলেই এখন ফ্রি স্যাম্পল থাকে। বিভিন্ন শেডের লিপস্টিক একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনি ভালো বুঝবেন কোনটাতে আপনাকে ভাল মানাচ্ছে। তবে লিপস্টিক বাছার সময় কখনই তা সরাসরি ঠোঁটে ব্যবহার করবেন না, এটি অস্বাস্থ্যকর হতে পারে৷ হাতের কব্জি বা আঙুলে রঙ পরীক্ষা করুন। আর অবশ্যই লিপস্টিক বা টিউব দেখে বিচার করবেন না, এটি আপনার মুখে নাও মানাতে পারে।

২)এমন রঙ বাছুন যা আপনার ঠোঁটের রঙ ও ত্বকের টোনের সঙ্গে মানানসই হয়। যে মহিলাদের ঠোঁটের আকার বড় তারা ব্রাউন, পারপল বা ব্রোঞ্জ শেডের লিপস্টিক ব্যবহার করতে পারেন৷ যাদের ঠোঁট পাতলা তারা গোলাপী, পিচ ও অ্যাপ্রিকট শেড ব্যবহার করতে পারেন।

৩)দিনের বেলার হালকা রঙ এবং রাতের বেলায় গাঢ় রঙ বেশি ভাল মানায়।

৪)যদি আপনি গাঢ় লিপশেড ব্যবহার করেন তবে মুখের মেকআপ বেশি চড়া করবেন না। আর যদি ঠোঁটে হালকা শেড ব্যবহার করেন তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে চোখের মেকআপ চড়া হয়।

৫)লিপস্টিকের এমন রঙ বাছুন যা বিনা মেকআপেও আপনাকে মানাবে।

৬)আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তবে আপনি লাল অবথা বাদামী শেড ব্যবহার করতে পারেন।

৭)গায়ের রঙ কালো হলে পাম বা ওয়াইন শেড ব্যবহার করুন এবং ফর্সা ত্বক হলে ক্যারামেল বা গাঢ় গোলাপী ব্যবহার করুন।

৮)যদি রাতে কোন পার্টি যাওয়ার থাকে তবে অবশ্যই একটু গাঢ় শেডের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। লিপস্টিক শেডের সীমা বরাবর ওই একই রঙের লিপ লাইনার ব্যবহার করুন।

৯)আর যদি একই রঙ মেখে আপনি ক্লান্ত হয়ে থাকেন তবে অনেকগুলি শেড একসঙ্গে মিশিয়ে নতুন একটা রঙ তৈরি করাই যায়।

১০)লিপস্টিককে যদি আরও আকর্ষণীয় করতে চান তবে সামান্য সোনালী রঙের আই শ্যাডো ঠোঁটের মাঝখানে দিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন।


(ওএস/এটি/ এপ্রিল ১৫, ২০১৪)