চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মি মিরাজ ও বশিরকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১২ জখম ছাত্রলীগ কর্মি মিরাজের মা পান্না বেগম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন। যার নং ৪৪। মামলায় আসামী করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান, সাবেক দপ্তর সম্পাদক শেখ সামী তাপুসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের ১৪ জন নেতাকর্মিকে। এছাড়া মামলায় আরও ৩/৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।

মামলায় বাদী পান্না বেগম অভিযোগ করেছেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় তার ছেলে আল মিরাজ ও তার বন্ধু বশির দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিণ পাড়ার জনৈক জহুরুলের চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলো। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে আসামীরা তার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা করে। উপর্যপুরী কুপিয়ে জখম করা হয় মিরাজ ও বশিরকে। নিশ্চিত হত্যার উদ্দেশ্যে মিরাজের পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। মামলার এজাহারে আসামীদের স্থানীয় সন্ত্রাসী বলেও অভিযোগ আনা হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আব্দুল খালেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শনিবার সকালে বাদীর লিখিত অভিযোগ পেয়ে মামলাটি রেকাড করা হয়। তিনি আরও জানান, যেহুতু ছাত্রলীগের অর্ন্তকোন্দলে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাই সূক্ষ্য তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সদর থানার উপ-পরিদর্শক ভবতোষ ঘোষকে।

প্রসঙ্গত. নিজেদের অর্ন্তকোন্দলে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় গুরুতর জখম হয় অন্য পক্ষের মিরাজ ও বশির নামে দুই কর্মি। শুক্রবার সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় এলাকার দক্ষিণপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মিরাজ ও বশিরের শরীরের বিভিন্ন স্থান মারাক্তক জখম হয়। এর মধ্যে মিরাজের বাম পায়ের রগও কেটে দেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কজনক হওয়ায় রাতেই মিরাজকে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় রেফার্ড করে সদর হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ।

এদিকে, এ হামলার পর চুয়াডাঙ্গা শহরে ছাত্রলীগের বিবদমান দুটি গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

(টিটি/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৯)